শিরোনাম
◈ আদানির দুই ইউনিট থেকেই ২৫ জুন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ◈ বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রদীপ এখনো নিভেনি: ওবায়দুল কাদের ◈ ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পেল জামায়াত ◈ এবার ‘বৃহত্তর নেপাল’ মানচিত্রে বাংলাদেশ! ◈ ইউক্রেনকে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিতে যাচ্ছে আমেরিকা ◈ সিরাজুূল আলম খানের প্রতি  শ্রদ্ধা নিবেদন বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটে ◈  ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত ◈ বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন: তথ্যমন্ত্রী ◈ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল ◈ বৈশ্বিক কারণেই বিভিন্ন সমস্যা চলছে, শিগগিরই সংকট কেটে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৩, ১১:১৮ দুপুর
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০২৩, ০৮:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারী অধিকার কর্মীদের প্রতি ‘কোমল’ মনোভাব দেখানোর জন্যে ১০ বিচারপতিকে মৃত্যুদণ্ড সৌদি সরকারের

রাশিদুল ইসলাম: এসব বিচারপতির অপরাধ, নারী অধিকার এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি তারা কিছুটা সহানুভূতিশীল ছিলেন। সেই অপরাধেই ‘চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে ১০ জন বিচারপতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। ডেইলি মেইল/দি ওয়াল

১০ জন বিচারপতির মধ্যে ৬ জন রিয়াদের স্পেশালাইজড ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারপতি। বাকি চারজন হাইকোর্টের বিচারপতি। ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল তাদের গ্রেপ্তার করে সৌদি স্টেট সিকিউরিটি এজেন্সি। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত জেলেই বন্দি রয়েছেন তারা। তাদের কোনও রকম আইনি সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে না প্রশাসনের তরফে। শুধু তাই নয়, পরিবার এবং বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেওয়া হচ্ছে না।  

সাজাপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে একজন হলেন আল লুহাইদান। তিনি ২০২০ সালে বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী লুজাইন-আল-হাথলাউলকে তার এজলাসে পেশ করার ২ মাসের মধ্যেই মুক্তি দিয়েছিলেন। লুজাইনকে আগে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল সৌদি আদালত। কিন্তু সেই মামলা লুহাইদানের এজলাসে ওঠার পর তিনি লুজাইনের শাস্তি কমিয়ে মাত্র ২ বছর ১০ মাসের সাজা শোনান। সেই সাজার বেশিরভাগটাই আগে অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পান ওই নারী অধিকার রক্ষা কর্মী।

বাকি ‘অভিযুক্ত’ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সরিয়ে দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই জায়গায় অন্য বিচারপতিদের নিয়োগ করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স। সূত্রের খবর, নবনিযুক্ত বিচারপতিরা রাষ্ট্রের প্রতি অত্যন্ত অনুগত। তারা ইতিমধ্যেই দেশদ্রোহিতা এবং অন্যান্য অভিযোগে বিচারাধীন মানবাধিকার এবং নারী অধিকার কর্মীদের সাজা বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুজনের সাজা ৮ বছর এবং ১৩ বছর থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩৪ এবং ৪৫ বছর করে দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতিদের এভাবে অভিযুক্ত করা এবং শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর মাধ্যমে সৌদি সরকার এই বার্তা দিতে চাইছে, যে, ন্যূনতম রাষ্ট্রদ্রোহিতাও কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সন্ত্রাস এবং অন্যান্য অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা না দিলে একই শাস্তির মুখে পড়তে হবে বিচারপতিদেরও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়