সাজ্জাদুল ইসলাম: রুশ জঙ্গী বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ড্রোনটি উদ্ধার করা কঠিন হতে পারে। কৃষ্ণসাগরের যেখানে ড্রোনটি ভেঙ্গে পড়ে সেখানে পানির গভীরতা অনেক বেশি। এছাড়া সেখানে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলো চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। আল-আজিরা
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জে: মার্ক মিলে বলেন, মনুষ্যবিহীন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পানির ১২১৯ মিটার থেকে ১৫২৪ মিটার (৪০০০-৫০০০ফুট) নীচে ডুবে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়ার দু’টি সু-২৭ জঙ্গী বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে ড্রোনটি ভেঙ্গে পড়ে।
মিলে বুধবার সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘সম্ভবত অনেক গভীরে এটি ডুবে আছে। কারিগরি দিক থেকে যা উদ্ধার করা বেশ কঠিন হবে। তিনি বলেন, ধ্বংসাবশেষ কতদূর ব্যাপী ও কত গভীরে পড়ে আছে তা জানতে কয়েক দিন লাগতে পারে।
রাশিয়া ড্রোনের সঙ্গে তাদের জঙ্গী বিমানের সংঘর্ষের বিষয় অস্বীকার করেছে। মস্কো বলেছে, তারা ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করবে। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন যে, তারা কৃষ্ণসাগরে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলোর উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছেন। পেন্টাগণের দু’জন কর্মকর্তা বিষয়টি এবিসি নিউজের একজন সাংবাদিককে নিশ্চিত করেছেন।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ রোসিয়া -১ টিভিকে বলেন, তার দেশ বিধ্বস্ত মার্কিন গোয়েন্দা বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, তারা এটি করতে পারবেন কিনা তা তিনি জানেন না তবে তারা অবশ্য ্ এটি করার চেষ্টা করবেন। মিলে বলেন, রাশিয়া যদি ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেও সেক্ষেত্রে তারা যাতে স্পর্শকাতর গোয়েন্দা তথ্য হাতে না পায় তা নিশ্চিত করতে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।
পাত্রুশেভও বলেছেন যে, ড্রোন ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে জাড়িত আছে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে সরাসরি যুদ্ধে জড়িত রয়েছে তার আরেকটি প্রমাণ হলো ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনা।’
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি এন্টোনভ বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তার সীমানা থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে ড্রোন মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন রাশিয়ার সেনাদের হামলা চালাতে ইউক্রেনকে এর মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে।
ই্উক্রেনের কর্মকর্তারা বুধবার সতর্ক করে দেন যে, ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় যুদ্ধকে আরো ছড়িয়ে দেয়ার পুতিনের ইচ্ছের প্রকাশ ঘটেছে।
এসআই/এইচএ