সাজ্জাদুল ইসলাম: নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশটির পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে বার্লিনসহ ইউরোপীয় রাজধানীগুলোর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন। এর আগের নির্বাচনগুলোর পর দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। তবে এখন নিরাপত্তা পরিস্থিতি আগের চেয়ে বেশ ভাল। ডিডব্লিউ
দুই মেয়াদ পার করার পর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারিকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। বর্তমানে তিন জন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন। তারা হলেন ক্ষমতাসীন অল প্রগ্রেসিভ কংগ্রেসের বোলা তিনুবু এবং সাবেক ভাইসপ্রেসিডেন্ট ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী আতিকু-আবুবকর। আরেকজন এ দৌড়ে আছেন। তিনি হলেন কোটিপতি ব্যবসায়ী পেটার ওবি। তরুণদের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে।
পশ্চিমা দাতাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তারা মনে করছেন এ নিয়ে দেশটি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে অথবা কে বিজয়ী হয়েছে তা নিয়ে দীর্ঘবিরোধ দেখা দিতে পারে। এমনটি হলে আফ্রিকায় নাইজেরিয়ার নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এমনটি হোক পশ্চিমা দেশগুলো তা চায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির প্রধান লিন্ডা ইরাওলি বলেন, নাইজেরিয়ার নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আগাম কিছু বলা যায় না। নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হতে পারে বলে অনেকবার আশংকা করা হলেও কিছুই হয়নি। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোনাথন গুডলাক পরাজিত হওয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ত্যাগ করেন।
নজর রাখছে জার্মানি কেন: নাইজেরিয়ার জনগণ দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও সহিংস সংঘাতকে ভাল চোখে দেখছে না। এতে তারা ক্ষুব্ধ। এ অবস্থা দেশে আগামী শনিবার দেশটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান সহজ হবে না। কিন্তু ফলাফল যায় হোক জার্মানির সাথে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সম্পর্কে প্রভাব পড়বে।
নাইজেরিয়ার ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কেবল প্রার্থীরা চিন্তার ভেতরে নেই। বিশ্বও দেখছে যে, এ নির্বাচনে কে জয়ী হয়। কারণ নাইজেরিয়া কেবল একটি দেশই নয়. আন্তর্জাতিক কন্ঠস্বরও। গত বছর জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী বায়েরবক একথা বলেছিলেন।
নাইজেরিয়া হলো আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি ও সবচাইতে জনবহুল দেশ। আন্তর্জাতিক বিষয়ে আবুজার অবস্থান যেমন আফ্রিকান ইউনিয়নের অবস্থান তেমন। বায়েরবক গত ডিসেম্বর মাসে বলেন, ‘আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ শরিক নাইজেরিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই।’
এসআই/এসবি২