রাশিদুল ইসলাম : [২] সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের পর তুঙ্গে বিতর্ক। শেষমেশ গ্রেফতার হতে হল এক অধ্যাপককে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছেন সাইবার ক্রাইম বিভাগের অফিসাররা। দিল্লির হিন্দু কলেজের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তার ঠিক একদিন পরেই বছর পঞ্চাশের ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[৩] জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন ওই অধ্যাপক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির হিন্দু কলেজের ধৃত ওই অধ্যাপকের নাম রতন লাল। তিনি ইতিহাস পড়ান। গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বারণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের একটি ছবি পোস্ট করে একটি মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার সেই মন্তব্য ঘিরেই ছড়ায় বিতর্ক।
[৪] দিল্লি পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই অধ্যাপককে প্রথমে সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিসিপি (উত্তর) সাগর সিং কলসি অধ্যাপক রতন লালের গ্রেফতার হওয়ার খবর জানিয়েছেন। এদিকে, অধ্যাপক গ্রেফতারের পরপরই প্রতিবাদে সরব হয় বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন।
[৫] অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-সহ বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্টটি ভাইরাল হতেই ওই অধ্যাপককে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও আবেদন করেছিলেন তিনি।
[৬] দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অধ্যাপক রতন লাল বুধবার বলেছিলেন, ”আমি এই বিবৃতির জন্য হুমকি এবং অপব্যবহার আশা করিনি। হিন্দুধর্মে ফুলে, রবিদাস এবং আম্বেদকরের সমালোচনার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। আমি সমালোচনা করিনি, এটি কেবল একটি পর্যবেক্ষণ। আমাদের দেশে যে কোনও বিষয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। লোকে কি করবে, মুখে পট্টি লাগিয়ে বসে থাকবে?”
আপনার মতামত লিখুন :