জাফর খান: অর্থনৈতিক মন্দার আঘাতে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় কোষগার থেকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানদের অবসরকালীন ভাতা বাবদ। আর এতে করে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। আর এর কারন হিসেবে বলা হচ্ছে যেখানে কিনা দেশটির অর্থনীতির সূচক এখনও অবধি মাথা চাড়া দিয়ে দাড়াতে পারছেনা সেখানে এই ব্যয় নিছক বিলাষিতা বৈ আর কিছু নয়।
চলতি ২০২৩ সালে রাষ্ট্রীয় বাড়ী ও গাড়ি সহ অন্যান্য সুবিধাদির জন্য এরইমাঝে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে গেছে কোষাগার থেকে।চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, মাহিন্দা রাজাপাকসে, মাহিত্রীপালা সিরিসেনা, গোতাবায়া রাজাপাকসে,হেমা প্রেমাদাসা ( মৃত রানাসিঙ্গে প্রেমাদাসার স্ত্রী) সহ সবার পিছনে বাজেটে এই ব্যয়ের বিষয়টি ধার্য্য করা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া চরম মন্দার বিষয়টিকে ভেবে এই ব্যয় সংকোচনের ব্যাপারে ভাবা উচিত বলে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে দেশটির সাধারন জনগন।
এক তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার জন্য স্থানীয় মুদ্রায় সরকারী হিসেবে ১১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবিকে করা হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা।আর গাড়ি ও অন্যান্য মেইনটেনেন্সের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।
ওদিকে ২০২২ সালে মাহিন্দা রাজাপাকসের জন্য ১১ লক্ষ ৭০০০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তার জন্য চলতি ২০২৩ সালে বরাদ্দ করা হয় ১ কোটিরও বেশি। অথচ গাড়ির জন্য যেখানে কিনা ২০২২ সালে বরাদ্দ ছিল ২০ লক্ষ টাকা। অন্য রাজসিক ব্যাক্তিরাও যেন হেটেছেন অনেকটা একই পথে। আর তাদের মাঝে অন্যতম সিরিসেনার জন্য কিনা চলতি বছরে ব্যয় বরাদ্দ ধার্য্য করা আছে ১ কোটি টাকা। গত বছরগুলোর তুলনায় যা কিনা ঢের।
অন্যদিকে, চলতি অর্থ বছরে যথাক্রমে গোতাবায়া রাজা পাকসে ও হেমা প্রেমাদাসার জন্যও একইভাবে বরাদ্দ ছাড় দেওয়া হয়েছে ১ কোটি টাকা। এর মাঝে বিল্ডিং স্ট্রাকচার ও গাড়ী বাবদ রাখা ৩২ লক্ষ টাকা। আর হেমা প্রেমাদাসার গাড়ী খরচ বাবদ রাখা আছে ৫০ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মাহিন্দা রাজা পাকসে সরকারী উইজিরামা রোডের ৭ কলোম্বোর বাসায় উঠেছেন। আর এই বাসভবনের সংস্কার কাজে ব্যয় করা হয় ৮০ কোটি টাকা। পরে এই বাসাটি তার ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
জেকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :