শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৩৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বরিসকে সতর্ক করে পুতিন বলেছিলেন, ‘আঘাত করতে চাইনা, চাইলে এটি মিনিটের ব্যাপার’

রাশিদুল ইসলাম: গত বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। এসময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ফোনালাপ হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের। বরিস পুতিনকে ইউক্রেন দখল করে নিতে নিষেধ করেছিলেন। এর জবাবে পুতিন বলেন, আমি আপনাকে আঘাত দিতে চাইনা। চাইলে ব্রিটেনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানতে সময় লাগবে এক মিনিট। সোমবার বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি ডকুমেন্টারিতে এমন তথ্য দিয়েছেন বরিস জনসন। 

বিবিসিকে জনসন বলেন, ফোনালাপে আমি পুতিনকে বলেছিলাম যে ইউক্রেনে যদি রাশিয়া সামরিক অভিযান চালায় তাহলে তা ‘পুরোপুরি বিপর্যয়’ ডেকে আনবে। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পূর্বেই কিয়েভ সফরে গিয়েছিলেন সেসময়কার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ওই সময় রাশিয়া প্রকাশ্যে দাবি করে আসছিল যে, তাদের ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা নেই। জনসন জানান, তিনি সেসময় পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ এবং ‘অসাধারণ’ ফোনালাপ করেন। তিনি পুতিনকে বুঝানোর চেষ্টা করেন যে, ইউক্রেন শীগগিরই ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না। কারণ ফ্রান্স ও জার্মানি ইউক্রেনকে ন্যাটোতে চায় না। কিন্তু রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করে তাহলে পশ্চিমারা ইউক্রেনের পেছনে দাঁড়াবে এবং তাতে রাশিয়া সীমান্তে ন্যাটোর উপস্থিতি বরঞ্চ আরও বৃদ্ধি পাবে। 

পুতিন তখন জনসনকে প্রশ্ন করেন, বরিস, আপনি বলছেন ইউক্রেন শীগগিরই ন্যাটোতে যুক্ত হবে না, এই শীগগিরই মানে কতদিন? উত্তরে জনসন পুতিনকে বলেন, আপনি ভাল করেই জানেন ‘নিকট ভবিষ্যতে’ ইউক্রেন ন্যাটোতে যুক্ত হচ্ছে না। তখন পুতিন খুব সাবলীলভাবে ব্রিটেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়ে দেন। ওই সময় পুতিন বেশ আন্তরিক ছিলেন। ফলে তার হুমকি আসলেই সত্যি ছিল কিনা, তা জানা অসম্ভব।

ওই ফোনালাপে পুতিনকে থামানোর অনেক চেষ্টা করেন বরিস জনসন। তারপরেও ইউক্রেনে হামলা চালান পুতিন। এরপর পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একত্র করতে বড় ভূমিকা রাখেন জনসন। গত প্রায় এক বছরে ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমশ ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যেকার যুদ্ধ হয়ে উঠেছে। ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনকে সাহায্যের ক্ষেত্রে হাত খুলে দিয়েছে। ট্যাংক, সমরযান, গোলা, কামান, মিসাইল ও আকাশ প্রতিরক্ষা পাঠিয়ে চলেছে। নিজেদের সেনা পাঠানো ছাড়া সবদিক থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে কয়েক ডজন দেশ। যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধসিয়ে দিতে দেশটিকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। আর এসবের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল বরিস জনসনের। যুদ্ধের প্রথমে যখন জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি দ্বিধায় ভুগছিল তখন ব্রিটেন সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে। 

এসব বিষয় নিয়ে বিবিসির সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেন জনসন। প্রথম দিকে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যেও ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান ছিল। রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নির্ভরতার কারণে অনেক দেশই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে চায়নি। জনসন সবাইকে এক কাতারে আনতে কাজ করেন। পুতিনের সেই হুমকি দমাতে পারেনি তাকে। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে যুদ্ধের মাঝেই একবার কিয়েভ সফর করেন। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েও তিনি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ যান। কিয়েভ ছাড়াও আশেপাশের শহরগুলো ঘুরে দেখেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়