শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:৩৮ সকাল
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৮:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তর রাখাইনে জান্তা সেনার গোলাবর্ষণে দুই শিশু নিহত

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মিদের সঙ্গে ও দেশটির জান্তা সেনাদের চলমান গোলাগুলিতে সাত বছর বয়সী দুই শিশু নিহত হয়েছে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে কোন কারণ ছাড়াই ক্যায়কতাউর সাধারণ নাগরিক ওপর সেনা সদর দফতর থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে এক শিশু মারা যায়।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম নারিনজারা এক প্রতিবেদনে জানায়, না গা য়ার গ্রামে কালাদান নদীর পাশে মং কো নাইং নিহত হয়। যেখানে জান্তার বাহিনীর মর্টার শেল পড়েছিলো, তার পাশে তাদের বাড়ি। আহত হওয়ার তিন ঘণ্টা পর সে মারা যায়। এছাড়া ইউ কেইভ তুন সেং নামে একজন আহত হন।

এদিকে দেশটির ওয়েস্টার্ন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের বুথিডং টাউনশিপের বুথিডাং টাউনশিপে জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে সাত বছর বয়সী এক মুসলিম ছেলে নিহত। সেই সঙ্গে তার দুই প্রতিবেশী আহত হন। নিহত ওই মুসলিম ছেলে টাউনশিপের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো।


বুথিডাং শহরসহ অন্যগ্রামে ৩০০ মুসলিম অধিবাসী আশ্রয় চেয়েছিল।

এদিকে শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী থাপিকে তুয়াং নামে ওই গ্রামটিতে আগুন দেয় জান্তা সেনা। মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামটির এক বাসিন্দা মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম নারিনজারাকে বলেন, শুক্রবার গ্রামটিতে একযোগে হঠাৎ অসংখ্য গোলা নিক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। এরপরই গ্রামটিতে প্রবেশ করে তারা।
 
তিনি বলেন, এ সময় আতঙ্কে গ্রামবাসী পালিয়ে যেতে শুরু করেন। পরে সেনাবাহিনী গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ওই গ্রামে ৬০টি বেশি বাড়ি এবং ৩০০ জনের মতো মানুষ বাস করতেন।

গ্রামটির অপর এক বাসিন্দা জানান, সেনাবাহিনীর ছোড়া একটি গোলার আঘাতে দুজন আহত হয়েছেন। হামলা শুরু হলে আতঙ্কে গ্রামবাসী নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছোটাছুটি করতে থাকেন।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও নাসাকা যখন গ্রামে প্রবেশ করে, তখন তারা বিরামহীন গুলি ছুড়ছিল। পরে গ্রামে প্রবেশ ঢুকে ঘরবাড়িতে আগুন দিতে শুরু করে।

গ্রামটি থেকে পালিয়ে যাওয়া অন্য এক বাসিন্দা বলেন, সেখানে কেবল বয়স্ক ব্যক্তিরা রয়েছেন, যাদের পালিয়ে আসার ক্ষমতা নেই। এমনকি তারা নড়াচড়াও করতে পারেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়