থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত থামাতে দেশ দুটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ দিনই সীমান্ত নিয়ে বিরোধের জেরে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। খবর: এএফপির
শনিবার স্কটল্যান্ড সফরে ছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে এই মাত্র কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললাম।’ পরে আরেকটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘এই মাত্র থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো। এটি খুবই ভালো একটি আলাপচারিতা ছিল। কম্বোডিয়ার মতো থাইল্যান্ডও দ্রুত যুদ্ধবিরতি চায়।’
ওই পোস্টে ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘আমি (থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর) এই বার্তাটি আবার কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর যুদ্ধবিরতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে। শিগগিরই তা আমরা দেখতে পাব।’ লড়াই না থামলে দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
সীমান্ত নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিরোধ শত বছরের বেশি পুরোনো। গত মে মাসে এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু করে দুই দেশ। শনিবার পর্যন্ত চলমান সংঘাতে দুই দেশের অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দুই দেশের ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ।
এর আগে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাত নিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত চেয়া কেও। তাঁর বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শর্তহীন যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি সীমান্ত নিয়ে ব্যাংকক ও নমপেনের দীর্ঘদিনের বিরোধের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় কম্বোডিয়া। উৎস: প্রথম আলো।