শিরোনাম
◈ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কড়াকড়ি, বিনিয়োগ বাড়াতে ভারসাম্যের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে, ঢাকায় প্রশিক্ষণ ◈ সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে ◈ লুইস ‌দিয়াস লিভারপুল ছেড়ে দি‌লেন, চার বছরের চুক্তিতে ঢুক‌লেন বায়ার্নে মিউ‌নি‌খে ◈ রাষ্ট্র মেরামত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না: আইন উপদেষ্টা  ◈ দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা: জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারাবী ◈ প্রথম পর্বে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো, তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন ◈ জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানে বিভাজন সৃষ্টির কৌশল ব্যর্থতার পথে: আমেরিকান ওয়েবসাইট

পার্সটুডে - একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইরানে জাতিগত বিভাজন সৃষ্টির ব্যাপক চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে এর আগে রক্ষণশীল দেশ হিসাবে পরিচিত ইরাক ও সিরিয়ায়ও একই প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল যার ফলে ওই দেশ দুটিতে স্থিতিশীলতার পরিবর্তে ধ্বংস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ব্যর্থতার পরও ইরানের বিরুদ্ধে একই কৌশল নেয়া হয়েছে।

কিছু মিডিয়া রিপোর্টে ইরানে জাতিগত বিভাজন সৃষ্টির জন্য আমেরিকান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং ইউরোপীয় সংসদীয় মহল থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা কিনা বেপরোয়া এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। পার্সটুডে জানিয়েছে, এই বিষয়ে আমেরিকান ওয়েবসাইট "রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফ্ট" রিপোর্ট করেছে: ইহুদিবাদী লবিং গ্রুপ "ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিজ" (FDD) এর নেতৃত্বে নব্য রক্ষণশীল থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলো ইরানের জনসংখ্যার কাঠামোর উপর ভিত্তি করে ইরানকে জাতিগত বিভক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে।

ওয়েব সাইটের একজন বিশ্লেষক (FDD) কে উদ্ধৃত করে বলেছে: "ইরানের জাতিগত জনসংখ্যার বিন্যাস একটি দুর্বল পয়েন্ট যা দেশটিকে দুর্বল করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।"

হিব্রু ভাষার সংবাদপত্র "জেরুজালেম পোস্ট"-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ইরানকে ভেঙে টুকরো  টুকরো করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আমেরিকান সাইটটি আরও লিখেছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে "ইরানের ভবিষ্যত" শীর্ষক একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইরানের বেশ কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিল এবং এ থেকে বোঝা যায় যে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট "রাজতন্ত্রকামী, ভণ্ড এবং জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী"সহ সন্ত্রাসী, চরমপন্থী এবং ইরান থেকে বিতাড়িত গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

উপরে উল্লিখিত ওয়েব সাইটটিতে আরও বলা হয়েছে: ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলসের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, ইরানের জাতীয় এবং গভীর বাস্তবতার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে এবং ইরান যে ৯ কোটিরও বেশি মানুষের জন্মভূমি, যাদের গভীর এবং ঐতিহাসিক জাতীয় পরিচয় রয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। একইসাথে কয়েক দশক ধরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে সামরিক চাপ পর্যন্ত বিদ্যমান বহিরাগত চ্যালেঞ্জগুলো ইরানিদের জাতীয় পরিচয় ও অভ্যন্তরীণ সংহতিকে আরো শক্তিশালী করেছে।

এই আমেরিকান সাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: ইরানে জাতিগত বিভাজন সৃষ্টি করে দেশটিকে ক্ষতি করার চিন্তা ইরাক ও সিরিয়ার অভিজ্ঞতার মতো একটি কৌশলগত ভুল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়