শিরোনাম
◈ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কড়াকড়ি, বিনিয়োগ বাড়াতে ভারসাম্যের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে, ঢাকায় প্রশিক্ষণ ◈ সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে ◈ লুইস ‌দিয়াস লিভারপুল ছেড়ে দি‌লেন, চার বছরের চুক্তিতে ঢুক‌লেন বায়ার্নে মিউ‌নি‌খে ◈ রাষ্ট্র মেরামত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না: আইন উপদেষ্টা  ◈ দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা: জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারাবী ◈ প্রথম পর্বে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো, তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন ◈ জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:০৪ দুপুর
আপডেট : ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ইরান কেন আমেরিকার কাছে নতিস্বীকার করে না: তাস‌নিম নিউজ এজ‌ন্সির প্রতি‌বেদন

এল আর বাদল : গোটা ইরানি জাতি একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যবস্থার ইরান চায়; কিন্তু ইরানের শত্রুরা নানা উপায়ে এই জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ইরানি জাতি ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েছে যে, জালিমের সামনে মাথানত করা যাবে না এবং জালিমকে পরাস্ত করতে হবে। -- পার্সটু‌ডে

তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের মহান জাতি কয়েক শতাব্দী ধরেই বিশ্বের দাম্ভিক শক্তির জুলুমের শিকার। ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের আগে কাজার যুগে এবং বিশেষকরে পাহলভি যুগে অভ্যন্তরীণ দাম্ভিক ও তাবেদার শাসকেরা জাতিকে পিছিয়ে রেখেছিল ও বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছিল। তারা বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তাবেদার ছিল। ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পরও বাইরের শত্রুরা এই জাতিকে পশ্চাৎপদ রাখতে নিষেধাজ্ঞাসহ সব ধরণের উপায় অবলম্বন করেছে।

১৯৭৯ সালে ইরানের স্বৈরাচারী শাহ সরকারকে উৎখাতকারী ইরানি মুসলিম জাতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদ থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা শুরু করে। ইরানি জাতি সম্মান-মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং শক্তির শীর্ষে পৌঁছানোর পথে বড় পদক্ষেপ নেয়। বড় পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি ছিল পারমাণবিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তি অর্জন, যা অর্জন করতে ইরানি জাতিকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। এই পথ বন্ধ করতে দখলদার ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বহু বিজ্ঞানীকে নানা উপায়ে হত্যা করেছে।

শক্তিশালী ইসলামী ইরান হলো আমেরিকা, দখলদার ইসরাইল এবং কিছু পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারী ও দাম্ভিক শাসকদের দুঃস্বপ্ন। কিন্তু তাদের জানা উচিৎ যে, ইরানি জাতি কখনই তাদের কাছে নতিস্বীকার করবে না, কারণ এই জাতি ইমাম হুসাইনের কাছ থেকে তাদের কর্তব্য শিখেছে। ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি কথায় বা কাজে যুগের জালিম শক্তির বিরোধিতা করে না, তার পরিণতি জালিমের মতোই হবে, অর্থাৎ সে জাহান্নামে যাবে।

ইসলামী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.) এবং বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ীকে অনুসরণ করে ইরানি জাতি জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হুসাইনি শিক্ষা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। 

ইরানি জাতি ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে যোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছে এবং বর্তমানে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর নেতৃত্বে ন্যায়ের পথে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন- শত্রুদের পরাজিত করার একমাত্র উপায় হলো প্রতিরোধ করা এবং অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনা ও সক্ষমতার ওপর নির্ভর করা। মরহুম ইমাম খোমেনী এবং ইমাম খামেনেয়ীর দিকনির্দেশনা এই জাতিকে সমস্ত সমস্যা সমাধানে এবং প্রতিটি বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দাম্ভিক শক্তিগুলো চায় না ইরান মজলুম জাতিগুলোর জন্য আদর্শ হয়ে উঠুক। এ কারণেই তারা ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ব্যবস্থাকে দুর্বল এমনকি ধ্বংস করতে সম্ভাব্য সব উপায় অবলম্বন করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়