শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২৫, ০১:২০ রাত
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের সাথে আলোচনায় বসতে চায় ভারত, উদ্দেশ্য কী? (ভিডিও)

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয় আলোচনা করতে প্রস্তুত। তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় সমাধানের জন্য ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত নানা পদ্ধতি রয়েছে। তবে আলোচনার জন্য ‘উপযুক্ত পরিবেশ’ নিশ্চিত করার শর্তও জুড়ে দিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত কূটনৈতিক কাঠামো রয়েছে। আমরা আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী। তবে এর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”

১৯ জুন পাকিস্তান ও চীনসহ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে জয়সওয়াল বলেন, ভারত তার স্বার্থ ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন আঞ্চলিক ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি আরও বলেন, ভারতের সম্পর্ক অন্য দেশের সঙ্গে স্বাধীন হলেও তা আঞ্চলিক পরিস্থিতির কারণে প্রভাবিত হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন, বিভিন্ন আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরামর্শ এবং কনসালটেশন মেকানিজম চালু আছে, যা বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করতে পারে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ঢাকার পক্ষ থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভারতের তরফে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। বরং সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ তুলে ভারতের কিছু মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সম্প্রতি ভারতের সংসদীয় কমিটিতে "ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ" শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাবনা, বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও অস্থিরতা, চীনের সঙ্গে কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা এবং ভারতের নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ একাধিক ইস্যুতে বিশ্লেষণ চাওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেনন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম হাসনাইন, ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিতাভ মাত্তু।

সম্প্রতি কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের ত্রিপাক্ষিক পরামর্শ সভা ভারতের কূটনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। রণধীর জয়সোয়াল জানান, ভারত সবসময় তার আশপাশের অঞ্চল এবং সেখানকার পরিবর্তনের ওপর নজর রাখে, বিশেষ করে ভারতের নিরাপত্তা ও স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপ গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ভূরাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ। তারা বলছেন, সময়োপযোগী আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়