শিরোনাম
◈ চাকরিজীবীদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার? ◈ সচিব পদে বড় রদবদল ◈ মোহাম্মদপুরের ত্রাস এক্সেল বাবু গ্রেপ্তার ◈ সৌদি আরবে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা ◈ সরকার ও রাজনৈতিকদলগুলো দুই মেরুতে, কোন দিকে যাচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতি ◈ প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,  ১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার ঘোষণা আসবে  প্রত্যাশা করছি ◈ সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের রুপরেখার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় হতাশ হয়েছে বিএনপি ◈ ‘এবারের হজযাত্রার এক অলৌকিক ঘটনা’ ◈ বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক, আনচেলত্তি ব্রা‌জি‌লের কোচ হিসা‌বে বছ‌রে বেতন পা‌বেন ১০৮ কো‌টি টাকা! ◈ একদিনে ডেঙ্গুতে ভর্তি ৭০, করোনা শনাক্ত ৬

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৫, ০৭:১১ বিকাল
আপডেট : ২৮ মে, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রসঙ্গে কী বললেন জয়শঙ্কর?

কে আগে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছে তা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তার মধ্যে পাল্টাপাল্টি দাবি রয়েছে। এছাড়া যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একাধিকবার নিজের কৃতিত্ব জাহির করেছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কোনো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার প্রয়োজন হয়নি। ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই সংঘাত যে আকার ধারণ করে, তা নিয়ে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রসঙ্গেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা ওঠে।
 
জয়শঙ্কর বলেন, ১০ মে পাকিস্তানই যুদ্ধবিরতির পক্ষে আলোচনার সূচনা করে। হটমেইলে যোগাযোগ করে তারা।  তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনা বার্তা পাঠিয়েছিল যে তারা গোলাগুলি বন্ধ করতে রাজি।
 
 যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ছাড়াও অন্য আরও দেশ থেকেও ফোন এসেছিল বলে জানান জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, রুবিও তার সঙ্গে এবং ভ্যান্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনায় কোনো তৃতীয় পক্ষ মধ্যস্থতা করেনি।
 
যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। আমাদের সঙ্গে যে বা যারা কথা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রত্যেককে একটা জিনিস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, পাকিস্তান থামতে চাইলে সেকথা ওদের আমাদেরই জানাতে হবে। ওদের কাছ থেকে শুনতে চাই আমরা। ওদের জেনারেল আমাদের জেনারেলকে ফোন করুন। তেমনটাই ঘটেছে।’
 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেকবার দাবি করেছেন তিনি যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করেছেন। এছাড়া তিনি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
 
জয়শঙ্কর এই ধরনের দাবি খারিজ করে দিয়ে বলেন, এটি আমাদের এবং পাকিস্তানীদের মধ্যে একটি বিষয়। আমরা দ্বিপাক্ষিকভাবে এটি মোকাবিলা করার প্রস্তাব করছি।
 
এছাড়া জয়শঙ্ক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে শুধুমাত্র দু’টি বিষয়েই আলোচনা করতে আগ্রহী ভারত। এক সন্ত্রাস নির্মূল করা এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হস্তান্তর। কাশ্মীরে সীমান্ত নিয়ে সমঝোতার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।
 
 এশিয়ার অনেক দেশ থেকেও ফোন এসেছিল বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সংঘাত পরিস্থিতি দেখা দিলে, অন্য দেশ থেকে ফোন আসাই স্বাভাবিক। প্রত্যেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে। কিন্তু গোলাগুলি বর্ষণ এবং সামরিক অভিঘাত থামানো নিয়ে সরাসরি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই সমঝোতা হয়।’
 
৬ এবং ৭ মে রাতে ভারত পাকিস্তানের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। নয়াদিল্লি দাবি করে, পহেলগাম হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
 
এরপর পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালালে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। টানা কয়েকদিনের সংঘাতের পর ১০ মে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতি হয়।  সূত্র: এনডিটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়