শিরোনাম
◈ আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: বিনিময় হার নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ ◈ গ্যাসসংকট: কমছে শিল্প উৎপাদন, প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ◈ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের ফোনালাপ, কী কথা হলো? ◈ ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্বের সুযোগ শেষ ◈ দেশের পথে খালেদা জিয়া ◈ টানা দুই দফা কমার পর আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বকেয়া প্রায় ৯০ কোটি ডলার! ◈ তথ্য-উপাত্ত সঠিক না থাকায় ফ্যাসাদ তৈরি হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সমস্যা নিরসন হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাতাসের মান যাচাইয়ে রাজধানীর ২৫ যায়গায় বসবে আধুনিক যন্ত্র: ডিএনসিসি  

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০৭ সকাল
আপডেট : ০৫ মে, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘পানামা খাল ফিরিয়ে নেবই’! ঘোষণা আমেরিকার

সম্প্রতি পানামা সফরে গিয়েছেন পেন্টাগন প্রধান পিট হেগসেথ। কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম আমেরিকার কোনও প্রতিরক্ষাসচিব পানামায় গেলেন। পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি।

পানামা খালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবার মুখ খুলল আমেরিকা। পেন্টাগনের প্রধান তথা আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ জানান, বিশ্বের অন্যতম জলপথে চিনের ‘প্রভাব’-এর অবসান ঘটিয়ে আমেরিকা পানামা খাল ফিরিয়ে নেবে!

সম্প্রতি পানামা সফরে গিয়েছেন পিট। কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম আমেরিকার কোনও প্রতিরক্ষাসচিব পানামায় গেলেন। পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, অতলান্তিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চিনের বিনিয়োগের বিষয়ে পিট গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে পানামা খাল নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের। এই বৈঠকের পর পেন্টাগন প্রধান জানান, পানামা বাহিনীর সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি হবে।

পিটের কথায়, ‘‘আমরা (পানামা এবং আমেরিকা) একসঙ্গে চিনের প্রভাব থেকে পানামা খালকে ফিরিয়ে আনব।’’ তাঁর পরামর্শ, ১৯৯৯ সালের পর আবার পানামার সঙ্গে নতুন চুক্তি পানামা খালকে চিনের প্রভাবমুক্ত করবে! পেন্টাগন প্রধান আরও বলেন, ‘‘পানামা খাল তৈরি করেনি চিন। তারা এটা পরিচালনাও করে না। চিনকে এই খাল অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।’’ পানামার প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে পিট জানান, মুলিনো ‘চিনের হুমকি’ বুঝতে পেরেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভোটে জয়ের পরেই পানামা খাল দিয়ে যাওয়া আমেরিকান জাহাজগুলি থেকে অন্যায় ভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত এবং অতলান্তিক মহাসাগরের সংযোগকারী এই গুরুত্বপূর্ণ খাল পরিচালনার ক্ষেত্রে চিন ‘প্রভাব’ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।

গত শতকের গোড়ায় আমেরিকাই প্রশান্ত এবং অতলান্তিক মহাসাগরের সংযোগরক্ষাকারী এই খালটি খনন করেছিল। তাদের হাতেই পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ছিল। পরে ১৯৯৯ সালে মধ্য পানামার হাতে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। ১৯৭৭ সালে আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে সই হওয়া চুক্তির ভিত্তিতেই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।

তবে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরই পানামা খাল নিয়ে সরব হন ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ওই খাল তাঁরা ফিরিয়ে নেবেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিল পানামা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়