শিরোনাম
◈ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কড়াকড়ি, বিনিয়োগ বাড়াতে ভারসাম্যের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে, ঢাকায় প্রশিক্ষণ ◈ সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে ◈ লুইস ‌দিয়াস লিভারপুল ছেড়ে দি‌লেন, চার বছরের চুক্তিতে ঢুক‌লেন বায়ার্নে মিউ‌নি‌খে ◈ রাষ্ট্র মেরামত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না: আইন উপদেষ্টা  ◈ দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা: জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারাবী ◈ প্রথম পর্বে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো, তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন ◈ জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: ভারতীয় মিডিয়ার দাবি

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বৈঠকে হওয়ার আলোচনার বিষয় নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আর প্রেস সচিবের এমন বক্তব্যকে ক্ষতিকর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। 

প্রেস সচিব মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিয়ে ফেসবুকে জানান, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। এছাড়া শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে কথা বলার সময় মোদি নেতিবাচক ছিলেন না।

সেই সঙ্গে প্রেস সচিব মোদিকে কোড করে লিখেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক থাকাকালীন আমরা আপনার প্রতি তার (হাসিনার) অসম্মানজনক আচরণ দেখেছি। কিন্তু আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছি।’

প্রেস সচিবের এমন বক্তব্যে নাখোশ ভারত। দেশটির একাধিক মিডিয়া (টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস) কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রেস সচিবের বক্তব্য ক্ষতিকর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০১৪ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা বলেছেন এবং এটিকে আমাদের সমাজ এবং জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেকোনো গণতন্ত্রে বৈধতার ভিত্তি হিসেবে নির্বাচনের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেছেন। বলেছেন, ‘এই বিষয়ে ক্রমাগত গড়িমসি প্রধান উপদেষ্টার সুনাম নষ্ট করবে। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বানোয়াট অভিযোগ বলে বাংলাদেশিদের দাবিকে তথ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার উত্থাপিত বিভিন্ন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে মোদি জানিয়েছেন, এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বারা সর্বোত্তমভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।

সূত্র জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিষয়ে প্রেস সচিবের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। এই ধরনের প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্ব এবং বিশ্বাস উভয়কেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য ‘ক্ষতিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। বৈঠকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশের পতিত সরকারের সম্পর্ক নিয়ে মোদির করা মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুবাদ: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়