রাশিদুল ইসলাম: [২] ইরানের মাশহাদে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দেশটির নিহত প্রেসিডেন্ট রাইসিকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার ভোরে ইরানের নিহত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সঙ্গীদের জন্য অনুষ্ঠিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে কয়েক ডজন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ইরানের রাজধানী তেহরানে পৌঁছেছেন। প্রেসটিভি
[৩] ৫০ টিরও বেশি দেশের প্রায় ৬৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তেহরানের ইরান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান এবং অন্যান্য শহীদদের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
[৪] প্রতিনিধিদলের মধ্যে ১০ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ২০ জন মন্ত্রীর পাশাপাশি সংসদের স্পিকার এবং বিদেশি সরকার প্রেরিত বিশেষ প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
[৫] কাতারের আমির, তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় নেতা, তিউনিসিয়া ও তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ইরাক, আর্মেনিয়া, কাতার এবং আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী এবং সেইসাথে ইরাক, রাশিয়া, আলজেরিয়া উজবেকিস্তান কাজাখস্তান এবং লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকাররা শেষকৃত্যে তাদের দেশের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন।
[৬] ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শিয়া আস সুদানি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের শাহাদাতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
[৭] এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর কাছে লেখা চিঠিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রায়িসি সারা জীবন দেশের কাজেই নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। প্রেসিডেন্ট রায়িসিকে তিনি ‘চমৎকার রাজনীতিবিদ’ বলে প্রশংসা করেন এবং তার শাহাদাতের ঘটনায় ইরানের ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
[৮] রাইসির মৃতদেহ বৃহস্পতিবার ভোরে রাইসির মরদেহ নিয়ে একটি মিছিলপূর্ব ইরানের বিরজান্দ শহর থেকে এগিয়ে যায়। একই দিন সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্বে তার নিজ শহর মাশহাদে তাকে দাফন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :