শিরোনাম
◈ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে জবাব দিলেন সাকিব ◈ রাখাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এখনই রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার সময়: খলিলুর রহমান ◈ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত: পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে মোদির স্ট্যাটাস ◈ পা‌কিস্তা‌নের বিরু‌দ্ধে জ‌য়ের হ‌্যা‌ট‌ট্রিক, এশিয়া কা‌পে ভারত অপরা‌জিত চ‌্যা‌ম্পিয়ন ◈ ৪৭তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ, পাস ১০৬৪৪ জন ◈ দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, ঐক্যের প্রতীক: প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ ঘন ঘন ভূমিকম্প কিসের ইঙ্গিত! ◈ কাপ্তাইয়ে যাত্রীবাহী বাস থেকে ৫০০ দা-চাপাতি উদ্ধার, ইউপিডিএফের সহিংসতার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো বিজিবি ◈ অমর একুশে বইমেলা স্থগিত ◈ প্রাথমিকে ছুটি কমছে, বছরে খোলা থাকবে আরও বেশি দিন

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:৫০ রাত
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহাকাশ থেকে দেখা যায় পৃথিবীর যে ১০টি বিখ্যাত স্থান

বিজনেস ইনসাইডার: পৃথিবীকে আমরা বিশাল সমতল ভূমি হিসেবে দেখলেও মহাকাশে ভেসে বেড়ানো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা নভোচারীরা পৃথিবী পৃষ্ঠের ২৫০ মাইল ওপর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রূপে দেখেন পৃথিবীকে। চীনের মহাপ্রাচীর ছাড়াও পৃথিবীর বেশ কয়েকটি বিখ্যাত স্থান দেখা যায় মহাকাশ থেকে। মহাকাশ থেকে দেখা যায়, এমন ১০টি বিখ্যাত স্থানের তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

১. আমাজন নদী

আমাজন নদী পেরুর আন্দিজ পর্বতমালা থেকে শুরু হয়ে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ব্রাজিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ও আয়তনের দিক থেকে বৃহত্তম নদী। এর দৈর্ঘ্য চার হাজার মাইলের বেশি। বিশাল এই নদী মহাকাশ থেকে সহজেই দেখা যায়।

২. ওয়াদি রাম

জর্ডানের এই উপত্যকা বালু, গিরিখাত, বেলেপাথরের পাহাড় ও প্রাচীন পেট্রোগ্লিফসের জন্য পরিচিত। এই স্থানে ‘রগ ওয়ান: আ স্টার ওয়ারস স্টোরি আর দ্য মার্শিয়ান’র মতো চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কাছে চাঁদের উপত্যকা নামে পরিচিত ওয়াদি রাম মহাকাশ থেকেও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ২০১১ সালে এটি ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।

৩. গোল্ডেন গেট ব্রিজ

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটির পরামর্শক স্থপতি আরভিং মরো এটিকে কমলা রঙে রাঙিয়েছিলেন। কমলা রং সান ফ্রান্সিসকোর কুয়াশার মধ্যে ব্রিজের দৃশ্যময়তা বাড়িয়ে দেয়। শীতকালে কুয়াশা কম থাকায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকেও এটি ভালোভাবে দেখা যায়।

৪. গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

বিশ্বের সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। লাখ লাখ বছর আগে গঠিত হয়েছিল গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন প্রায় ২৭৭ মাইল দীর্ঘ ও ১৮ মাইল প্রশস্ত। কোনো কোনো জায়গায় এর গভীরতা এক মাইলের বেশি। মহাকাশ থেকে এটি একটি দীর্ঘ প্রবাহিত নদীর মতো দেখায়।

৫. দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ

বিশ্বের আলোচিত প্রাকৃতিক আশ্চর্যের আরেকটি হলো অস্ট্রেলিয়ার উত্তর–পূর্ব উপকূলে অবস্থিত প্রবাল সমুদ্র দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। এখানে বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালপ্রাচীর ব্যবস্থা রয়েছে। এটি ১ হাজার ৪৩০ মাইলের বেশি দীর্ঘ। দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে প্রায় তিন হাজার প্রবালপ্রাচীর ও ৮৯০টি দ্বীপ রয়েছে। ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, এখানে ৪০০ ধরনের প্রবাল, ১ হাজার ৫০০ প্রজাতির মাছ ও ৪ হাজার ধরনের শামুক ও ঝিনুক রয়েছে।

৬. কেনেকট কপার মাইন

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার সল্ট লেক সিটির কাছে অবস্থিত এই তামার খনিটি বিংহাম ক্যানিয়ন মাইন নামেও পরিচিত। কেনেকট কপার মাইনটি আড়াই মাইল প্রশস্ত ও আধা মাইল গভীর। এটি এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে চালু আছে।

৭. হিমালয় পর্বতমালা

হিমালয় পর্বতমালার গড় উচ্চতা প্রায় ২০ হাজার ফুট। পাকিস্তান, নেপাল, ভারত, চীন, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ মাইলজুড়ে বিস্তৃত। বরফে ঢাকা এই পর্বতমালা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে শত শত মাইল ওপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নভোচারীদের কাছে দৃশ্যমান হয়। ঢাকা থেকে বিমানে নেপাল বা ভারতে ভ্রমণের সময় এই পর্বতমালা আবছা দেখা যায়।

৮. পাম জুমেইরা, দুবাই

দুবাইয়ের কৃত্রিম দ্বীপ পাম আইল্যান্ডসের একটি হলো পাম জুমেইরা। কন্ডে নাস্ট ট্রাভেলারের মতে, এটি প্রায় ৩০০ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট বালু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা পারস্য উপসাগরের তলদেশ থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এটি খেজুরগাছের আকৃতিতে নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপ। এই কৃত্রিম স্থাপনা মহাকাশ থেকে দেখা যায়।

৯. গিজার পিরামিড

মিসরের গিজার পিরামিডগুলো খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে প্রাচীন মিসরীয়দের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এগুলো বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র, যা এখনো বিদ্যমান। ২০০১ সালে মহাকাশ স্টেশন আলফার নভোচারীরা প্রথম গিজার পিরামিডের ছবি তুলেছিলেন।

১০. সুয়েজ খাল

সুয়েজ খাল হলো ১২০ মাইল দীর্ঘ একটি কৃত্রিম খাল। এটি ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ হিসেবে কাজ করে। আগে আফ্রিকা ঘুরে আসতে যে দুই সপ্তাহ সময় লাগত, তা এখন আর লাগে না। প্রতিদিন ৫০টির বেশি জাহাজ এই খালের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। মহাকাশ থেকে সুয়েজ খাল, এর চারপাশের শহুরে এলাকা ও মরুভূমির দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

অনুবাদ: প্রথম আলো 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়