স্পোর্টস ডেস্ক : কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরে অনুষ্ঠিত কলম্বিয়া কাপ ফাইনালে প্রতিপক্ষ দুই দলের সমর্থকদের সংঘর্ষে মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আহত হয় অন্তত ৫৯ জন।
গত বুধবার কলম্বিয়া কাপের ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দেপোর্তিভো ইন্ডেপেনদিয়েন্তে মেডেলিনকে বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতে আতলেতিকো নাসিওনাল। রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো স্টেডিয়াম। দুই দলেরই হোম ভেন্যু এস্তাদিও আতানাসিও গিরার্দোত স্টেডিয়ামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। --- টি স্পোর্টস
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের একাংশ মাঠে ঢুকে পড়ে। তাদের কারও হাতে ছিল ফ্লেয়ার ও আতশবাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামানো হয় দাঙ্গা পুলিশ। আহতদের মধ্যে সাতজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা ‘এল কলোম্বিয়ানো’ জানিয়েছে, সহিংসতায় স্টেডিয়ামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক আসন উপড়ে ফেলা হয়েছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও ১৪ মিনিট দেরি হয়।
মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সহিংসতা ছড়ানো ‘কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিকে’ দায়ী করেন এবং সতর্ক করে দেন যে, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে গিয়ে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। অল্প কয়েকজনকে সবার সম্পদ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’
কলম্বিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল ‘টেলি আন্তিওকিয়া’ কে পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো জানান, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র, ফ্লেয়ার ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২০ কেজিরও বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরি করে এমন রাসায়নিক বস্তু) সামগ্রী ছিল।
পুলিশ কমান্ডার বলেছেন, ‘সমর্থকদের মাঠ দখল ঠেকাতে, জনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ন্ত্রণে এবং দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।’
কলম্বিয়ায় বড় ম্যাচগুলোতে সহিংসতা ঠেকাতে সাধারণত সফরকারী দলের সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তবে ফুটবলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ডার্বি ম্যাচে মেডেলিন কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রম হিসেবে দুই দলের সমর্থকদেরই মাঠে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল।