নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে বাংলাদেশ সিরিজ জিততে পেরেছে। সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ এদিন ব্যাটে বলে হালে পানি পেলো না। অথচ এই দলটি দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সিরিজে সমতা এনেছিলো। অথচ এই দলটি তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে খেলতে নেমে খেই হারিয়ে ফেলে। ফলে বাংলাদেশ অলরাউন্ড পারফরমেন্স দেখিয়ে সিরিজ ঘরে তুলে।
তবে ওয়ানডেতে সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বাংলাদেশের। কিছুদিন আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ঘরের মাটিতে ঠিকই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৯ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। রানের দিক দিয়ে এটি উইন্ডিজদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।
আগে ব্যাট করে ২৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল লাল সবুজের দল। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ধুঁকেছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন দশ নম্বর ব্যাটার আকিল হোসেন। ১৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
স্পিন নির্ভর উইকেটে নাসুম আহমেদ-রিশাদ হোসেনদের কোনো জবাবই দিতে পারেননি ব্রান্ডন কিং-অ্যালিক অ্যাথানেজরা।
সিরিজে তিন ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ হোসেন। যা ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী এখন তিনি। পেছনে ফেলেছেন রশিদ খানের ১১ উইকেট নেওয়ার কীর্তিকে।
এদিন মিরপুর শের-ই বাংলায় এদিনও টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরপুরের স্পিনবান্ধব উইকেট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে বধ্যভূমিতেও আলো ছড়ালেন সাইফ ও সৌম্য। ইনিংসের শুরু থেকেই করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি তারা।
সাইফ ও সৌম্য পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটে দুই ওপেনার পেলেন ফিফটি। ভারতের বিপক্ষে লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিম করেছিলেন ফিফটি। এদিন আরও কিছু রেকর্ড গড়েছেন সৌম্য ও সাইফ। তাদের ওপেনিং জুটিতে ১৭৬ রান এখন মিরপুরে বাংলাদেশ ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। সব ভেন্যু মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৭২ বলে ছয়টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলেছেন সাইফ। সৌম্য ফিরেছেন সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে। ৮৬ বলে খেলেছেন ৭ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংস।
তবে ওপেনারদের এনে দেওয়া ভিত খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তিনে নামা তাওহীদ হৃদয় বেশ ভুগেছেন। ৪৪ বলে খেলেছেন ২৮ রানের ইনিংস। নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন ৫৫ বলে ৩ ছক্কায় ৪৪ রান। ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেন।