দারুণ ফর্মে থেকেও গত মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (ইউসিএল) জেতা হয়নি বার্সেলোনার। সেমিফাইনালে তারা ইন্টার মিলানের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে যায়। ওই ম্যাচেই রেফারির একাধিক সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোয় আসন্ন ইউসিএলের এক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও সহকারী কোচ মার্কাস সর্গকে। তাদের সেই শাস্তি স্থগিত করেছে উয়েফা।
আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ২০২৫-২৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউক্যাসলের মোকাবিলা করবে বার্সেলোনা। তার আগে গতকাল (শুক্রবার) দুই কোচের শাস্তির মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত স্থগিতের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। এর আগে শাস্তি প্রদানের পর কাতালান ক্লাবটি উয়েফার কাছে আপিল করেছিল।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ২০ হাজার (২৮ লাখ টাকার বেশি) ইউরোও জরিমানা করা হয়েছিল বার্সার প্রধান ও সহকারী কোচের। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হলেও আর্থিক জরিমানা শোধ করতে হবে ব্লুগ্রানা ক্লাবটিকে। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে ফ্লিক-সর্গের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত থাকবে এক বছরের জন্য, এই সময়ের মধ্যে আবারও তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে অ্যাগ্রিগেটে ৪-৩ ব্যবধানে ইন্টার মিলানের কাছে হেরেছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ইন্টারের কাছে হারের দিন বার্সার জার্মান কোচ ফ্লিক রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। একইভাবে ক্ষিপ্ত ছিলেন সহকারী কোচ মার্কাস সর্গ। সংবাদ সম্মেলনেও ফ্লিক রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করেন। যা আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে উয়েফা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। আপাতত সেটি স্থগিত করায় বার্সার আসন্ন নিউক্যাসল ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়াতে থাকছেন ফ্লিক-সর্গ।
বার্সেলোনার দুই তারকা লামিনে ইয়ামাল ও রবার্ট লেভান্ডফস্কিকেও শাস্তি দেওয়া হয়েছিল অ্যান্টি-ডোপিং কর্মকর্তার নির্দেশাবলী না মানায়। তাদের দুজনকেই ৫ হাজার ইউরো করে জরিমানা করা হয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ টাকার কিছু বেশি। এ ছাড়া মাঠে সমর্থকরা বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ করায় ৫ হাজার ২৫০ ইউরো এবং আতশবাজি পোড়ানোয় ২ হাজার ৫০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে বার্সেলোনাকে। সবমিলিয়ে দর্শকদের আচরণে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে ৭৭৫০ ইউরো বা প্রায় ১১ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে।