স্পোর্টস ডেস্ক : দুর্দান্ত এক ম্যাচ খেললো ইংল্যান্ড। যা রেকর্ড হয়ে রইলো। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তাতে মনে হয় বিশাল এক ভুলই করে বসলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। ব্যাটিংয়ে নেমেই ঝড় তোলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও জস বাটলার।
৬০ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন সল্ট। বাটলার আউট হন ৩০ বলে ৮৩ রান করে। মাঝে জ্যাকব বেথেল ১৪ বলে করেন ২৬ রান। হ্যারি ব্রুক অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৪১ রানে। আর তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিকরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এছাড়া তৃতীয় দল হিসেবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৩০০ রানের গণ্ডি পেরুলো ইংলিশরা।
বিশাল রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার এইডেন মারক্রাম ও রিকেলটন। তবে এই বিশাল রান তাড়া করে জেতা তো আর কম কথা নয়। বড় শট খেলতে গিয়ে একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন ব্যাটাররা।
ওপেনার মারক্রাম করেন ২০ বলে ৪১ রান। রিকেলটনের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ২০ রান। ত্রিস্তান স্টাবস করেন ২৫ বলে ২৩, ডোনোভান ফেরেইরা ১১ বলে ২৩ ও ফৌরতিন করেন ১৬ বলে ৩২ রান। তা ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৬.১ ওভারে ১৫৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪৬ রানের বিশাল এক জয় পায় ইংল্যান্ড। জোফরা আর্চার নেন ৩ উইকেট। স্যাম কারান, ডসন ও উইল জ্যাকস নেন ২টি করে উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের রেকর্ড ৩৪৪ রানের। গাম্বিয়ার বিপক্ষে করেছিলো জিম্বাবুয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১৪ রান রয়েছে নেপালের। তারা এই রান করেছিল মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩০৪ রানের রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড।
ব্যক্তিগত রানের দুটি রেকর্ড গড়েন ফিল সল্ট। ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন এই ওপেনার। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে ৪২ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল লিয়াম লিভিংস্টোনের।