স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় দাবায় নজির গড়ল পাঁচ বছরের আরিণী লাহোটী। কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসাবে দাবার তিন ফরম্যাটেই ফিডে রেটিং পেল দিল্লির কন্যা। ক্লাসিক্যাল, র্যাপিড ও ব্লিৎজ়, তিন ফরম্যাটেই রেটিং পেয়েছে আরিণী। ক্লাসিক্যালে ১৫৫৩, র্যাপিডে ১৫৫০ ও ব্লিৎজ়ে ১৪৯৮ পয়েন্ট পেয়েছে সে। এত কম বয়সে ভারতের আর কোনও দাবাড়ুর তিন ফরম্যাটে রেটিং নেই।
২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জন্ম আরিণীর। ২০১৯ সাল বা তার পরে জন্ম নেওয়া ছেলে ও মেয়ে দাবাড়ুদের মধ্যে আরিণীর রেটিং ভারতে সবচেয়ে বেশি। এই বয়সের দাবাড়ুদের মধ্যে ইভান দুবে, নিমালান ধরনিপাথি, আওয়েস খান ও বাংলার অনীশ সরকার ক্লাসিক্যাল ও র্যাপিড ফরম্যাটে ফিডে রেটিং পেয়েছে। কিন্তু ব্লিৎজ়ে রেটিং পায়নি তারা। একমাত্র আরিণী সেই কীর্তি করেছে। --আনন্দবাজার
আরিণীর বাবা সুরেন্দ্র লাহোটীই তার কোচ। তিনি ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে বলেন, “ঘরেই ওকে দাবা শিখিয়েছি। তিনটে ফরম্যাটেই ওকে তৈরি করেছি। তার ফল দেখতে পাচ্ছি। তিনটে ফরম্যাটেই ও ফিডে রেডিং পেয়েছে।”
কিন্তু তিন ফরম্যাটে সময়ের হিসাব তিন রকম। ক্লাসিক্যাল ফরম্যাটে ৯০ মিনিটের পর আরও ৪০ মিনিট যুক্ত হয়।
র্যাপিড ফরম্যাটে ১৫ মিনিটের খেলা। প্রতি চালের সঙ্গে ১০ সেকেন্ড করে যুক্ত হয়। ব্লিৎজ় ফরম্যাটে তিন মিনিটের খেলা। প্রতি চালের সঙ্গে ২ সেকেন্ড করে যুক্ত হয়। তা হলে কী ভাবে সময়ের হিসাব রাখে আরিণী?
সুরেন্দ্র বলেন, ওকে আমরা র্যাপিড ও ব্লিৎজ়ের জন্য এক ভাবেই তৈরি করেছি। একই সময় ধরে ও খেলে। তাতে দু’রকম প্রতিযোগিতার জন্যই তৈরি হতে পারে। স্থানীয় স্তরেও ও খেলে। রাজ্য ও জাতীয় স্তরেও খেলে। কোথাও না বলে না। দাবাটা ও ভালবাসে। তার ফল দেখতে পাচ্ছি।
দিল্লিতে সুরেন্দ্রের একটি দাবা অ্যাকাডেমি রয়েছে। সেখানে অনেকে শেখে। কিন্তু কন্যাকে বাড়িতেই শেখান তিনি। সুরেন্দ্র বলেন, “লকডাউনের সময় ও আমাকে অনলাইনে দাবা খেলতে দেখেছিল।
আমার পাশে চুপ করে বসে থাকত। তার পরে নিজেই খেলা শুরু করল। ওর উৎসাহ দেখে ওকে শেখাতে শুরু করলাম। অল্প দিনের মধ্যেই ও খেলাটা বুঝে গেল। এত তাড়াতাড়ি এই জায়গায় এসেছে। আমরা চাই ও দেশের কনিষ্ঠতম ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও গ্র্যান্ড মাস্টার হোক।