নিজস্ব প্রতিবেদক : বাফুফের অনেক বড় আয়োজন, বিশাল হুঙ্কার, রেকর্ড দর্শকের উপস্থিতি, এতা কিছুর পরেও হতাশ হতে হলো, সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ফাহামিদুল-রাকিবরা। তবে বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বিরতির পর সমতায় ফেরার চেষ্টায় আরেকটি গোল হজম করে তারা। তবে রাকিব হাসানের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত ফিনিশিংয়ের অভাবে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের।
মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।
গোলরক্ষক মিতুল মারমা ও ডিফেন্ডারদের ভুলে দুই অর্ধে গোল দুটি হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরের ওপর চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টায় থাকা স্বাগতিকরা ফিনিশিংয়ের অভাবে তেমন কোনো ভীতি ছড়াতে পারেনি।
৩০তম মিনিটে বক্সের মধ্যে দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মিতুল। এর খানিকবাদে গোলের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশেরও। কিন্তু শমিতের বাড়ানো বলে ছোঁয়া লাগাতে ব্যর্থ হন রাকিব হোসেন।
৩২তম মিনিটে বক্সের বাইরে ফাহামিদুলকে ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী সরাসরি গোলের জন্য শট নিলে তা পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
৩৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে শমিত উঁচু করে বল দেন বক্সের কাছে ফাঁকা দাঁড়িয়ে থাকা ফাহামিদুলকে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তার শট প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার।
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। লং থ্রো ইন পাঞ্চ করে ঠেকাতে গোলপোস্ট ছেড়ে এগিয়ে যান মিতুল। কিন্তু বল চলে যায় প্রতিপক্ষের পায়ে। সেখান থেকে পাওয়া ক্রসে বল জালে জড়ান সং উই ইয়ং।
বিরতির পর সমতায় ফেরার চেষ্টায় থাকা বাংলাদেশ উল্টো ৫৮তম মিনিটে আরেকটি গোল হজম করে বসে। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট ঠেকান মিতুল। কিন্তু বলটি সোজা চলে যায় বক্সের ভেতর থাকা ইখসান ফান্দির পায়ে। কাছ থেকে নেওয়া শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া স্বাগতিকদের হয়ে ৬৭তম মিনিটে এক গোল শোধ দেন রাকিব। হামজার বাড়ানো বল বক্সের মাথা থেকে গোলের জন্য শট নেন এই স্ট্রাইকার। বল ধরতে বেশ এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের নিচ দিয়ে তা জালে জড়ালে ব্যবধান কমে বাংলাদেশের।