শিরোনাম
◈ সা‌কিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে  টি-টোয়েন্টি ক্রিকে‌টে সর্বোচ্চ ডাকের মালিক ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসতে যমুনায় যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধিদল ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গাছে গাছে ঝুলছে রসালো লিচু ◈ নাতির বয়সী কিছু উপদেষ্টার কারণে সরকারের ভুল হচ্ছে: রিজভী (ভিডিও) ◈ পুলিশকে নিয়ে নুরের বক্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি ◈ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২৬ জুন শুরু: নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্নে ৩৩ দফা নির্দেশনা ◈ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত: উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ পুঁজিবাজার থেকে পাচার হয় ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ◈ বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান ও পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

রাজনীতিতে নতুন বাঁক, সংকট উত্তরণে দ্রুত রোডম্যাপে সমাধান দেখছে বিএনপি

মহসিন কবির: দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে। আর ঘোলাটে রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি। বিএনপি নেতারা মনে করেন রোডম্যাপই একমাত্র সমাধান। এছাড়া রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে জুলাইয়ের চতেনা ব্যাহত হবে। বিাপাকে এসমিপি নেতাকর্মীরা। 

জাতীয় নির্বাচন, রাখাইনে মানবিক করিডর, চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা, ছয় উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিসহ কয়েকটি ইস্যুতে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজনের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে বিএনপি। 

জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের ফসল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু শান্তিতে নোবেলজয়ী বিশ্ববরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক বাধা-প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন; স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাজ করতে পারছেন না। সব মিলিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার চিন্তা করছেন। 

দীর্ঘকালীন ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির পর দেশের নতুন পথচলা শুরুর এমন সময়ে এসে তার মতো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র এক গভীর সংকটে পড়বে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে দেশ। এসব ষড়যন্ত্রের কারণে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি অগ্লিপরীক্ষার মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্ব যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে ক্রান্তিকাল আরও দীর্ঘায়িত হবে; দীর্ঘ সময়ের জন্য বিপদে পড়বে দেশ। সঙ্গত কারণেই ড. ইউনূসের পদত্যাগ ভাবনা নিয়ে যারপরনাই উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। জুলাই বিপ্লবের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই ঐক্যে ফাটল ধরেছে। পরস্পরকে আক্রমণ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংস্থা আন্দোলন করছে, বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। সেই চাপ সরকারের কাঠামোতেও পড়েছে। ফলে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকার সমস্যায় পড়ছে। ক্রমাগত চাপ সামাল দেওয়াও সরকারের পক্ষে ক্রমান্বয়ে কঠিন হয়ে পড়ছে। যার ফলে প্রধান উপদেষ্টা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এই ক্রান্তিকালে দেশের সার্বভৌমত্বসহ মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য খুবই জরুরি। এসব বিষয় সামনে এনেই সমাধানের দিকে যেতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার হতাশা জাতির জন্য কাম্য নয়। তার নেতৃত্ব জাতি আশা করে। এ জন্য সর্বাগ্রে সবার ঐকমত্য প্রয়োজন।

ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাঝে জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে বিভেদ এত দিন ভেতরে ভেতরে ছিল। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে ইশরাক হোসেনের শপথ ইস্যুতে তা বেশ দৃশ্যমান হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি ও এনসিপি। এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর জুলাই সনদ ঘোষণায় জামায়াত গণভোট দাবি করলে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপিতে সন্দেহ দেখা দেয়। জুলাই আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা সম্প্রতি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে-এমন ফেসবুক পোস্ট দিলে ক্ষুব্ধ হয় জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়াও রাষ্ট্র সংস্কার, এনবিআর বিলুপ্তি, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রধান উপদেষ্টাকে। এতে করে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। সঠিকভাবে তিনি যদি কাজ করতে না পারেন, তাহলে প্রধান উপদেষ্টার পদে থেকে কী লাভ- এ কথা বলে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা ভাবছেন তিনি।

সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে গত বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণও দিতে চেয়েছিলেন। কয়েকজন উপদেষ্টা তাকে তার অবস্থান পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তার অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। ভাবনায় অনড় থাকলে আজ শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করতে পারেন ড. ইউনূস। ওই বৈঠকে আলোচনা করে সর্বদলীয় বৈঠকও আহ্বান করতে পারেন তিনি। সেখানে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রমতে, প্রধান উপদেষ্টাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে পদত্যাগের ভাবনা থেকে সরে আসার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সবাই একমত, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে দেশ একটি গভীর সংকটে পড়বে। তিনি যেভাবে দেশের রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক মহলেও তিনি বেশ গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। বিশ্বব্যাপী তার গ্রহণযোগ্যতা এবং তার সরকারের প্রতি সমর্থন থাকায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও ভারত ছাড়া কোনো দেশ সরকারের বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, গত বছরের ৮ আগস্ট ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে তাকে ব্যর্থ করতে দেশি-বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ সম্পর্কে সবার সতর্ক থাকা উচিত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সাড়ে ১৫ বছরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করে নিজেকে একটি দানবে পরিণত করেছিল। দুর্নীতি-লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে নিঃস্ব করে ফেলেছিল। গুম-খুন, হামলা-মামলা, সাজাসহ অব্যাহতভাবে নানা রকম নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশের সব মানুষকে দমন করে সব ধরনের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। জুলাই আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিলে সে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মতো কোনো সরকার যাতে দানবে পরিণত হতে না পারে এবং শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া জঞ্জাল রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে দূর করার লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রদের আহ্বানে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যৌক্তিক-অযৌক্তিক নানা দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান রাজপথে, সামাজিক মাধ্যমে নানাভাবে তাকে আক্রমণ করতে থাকে। স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে না পারায় ক্ষুব্ধ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার জন্য বিরোধীরা বিএনপিকে দায়ী করার চেষ্টা করছেন। 

এ প্রসঙ্গে গতকাল শুক্রবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার পরিবর্তে যদি তিনি পদত্যাগ করতে চান বা দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা ওনার পদত্যাগ দাবি করিনি। আর একান্তই যদি উনি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তা হলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র একটা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নেবে। এ পৃথিবীতে কেউ অপরিহার্য নয়। কিন্তু আমরা আশা করব, তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব, তিনি বিষয়টি অনুধাবন করবেন। জাতির আকাক্সক্ষা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। সংস্কার ও বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে সরকার আসবে, তারা তা চালিয়ে নেবেন।

গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

গতকাল এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সরকার যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন করে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই। দুই মাস পর করলেও আপত্তি নেই। তবে সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া। জামায়াত দুটি রোড ম্যাপ চেয়েছে; একটি হচ্ছে নির্বাচনের রোডম্যাপ, অপরটি হচ্ছে সংস্কারের রোডম্যাপ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা ক্রিটিক্যাল টাইম পার করছে। এখানে সবাইকেই ধৈর্য ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন, যারা অন্যান্য পেশায় আছেন বা রাজনীতিবিদ আছেন, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন আশা করি। এমন কোনো ভূমিকা রাখা বা বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না, যা নতুন করে উত্তেজনা ও সমস্যা সৃষ্টি করে।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির আরও বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। এটা অস্বাভাবিক নয় যে, বিভিন্ন দলের কিছুটা মতপার্থক্য থাকবে। তবে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এর পাশাপাশি কিছু সংস্কার করারও প্রয়োজন আছে। যেটা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও সঠিক রাজনীতি করার জন্য সহায়ক হবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন, তাকে কেউ সহযোগিতা করছে না। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইছে, আন্দোলন করছে। এর আগে বুঝতে হবে- এখনও সংস্কার হয়নি, জুলাই হত্যাক-ের বিচার হয়নি। আমরা তো আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। আবার সেই ফ্যাসিজম, খুন, গুম ফিরে আসুক এটা চাই না। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটা চাই না।

রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার ও বিচারের দিকে মনোযোগ না দিয়ে করিডর, বন্দর এসবে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক দিলারা বলেন, যদি তাই মনে করে তা হলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এ বিষয়ে কথা বললেই হয়। নেতারা মনে করিয়ে দিতে পারেন যে, আপনি এদিকে না, ওদিকে মনোযোগ দিন। সবাই যদি অসহযোগী হয়, তা হলে উনি (ড. ইউনূস) কিছুই করতে পারবেন না। উনি আসলে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছেন, এটা বুঝতে হবে আমাদের।

সব দিক মিলেই কি কঠিন পরিস্থিতিতে সরকার? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক দিলারা বলেন, আমার কাছে এদিকটার (রাজনৈতিক দল) থেকেও যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তা হলো- সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি কোনো অ্যাকশনে যেতে পারছেন না। কেন পারছেন না, সেটা আমি জানি আপনিও (প্রতিবেদককে) জানেন। বহু রকম ব্যাপার আছে, বিদেশি শক্তি আছে। কিন্তু এটা তো ওনার (প্রধান উপদেষ্টার) জন্য অপমানজনক হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়