মনিরুল ইসলাম: সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজ শনিবার ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এল. ডি হলে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্ক্সবাদী) এর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের একটি পর্যায়ের অবসান ঘটেছে। সবাই মিলে রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ার সূচনা হচ্ছে৷ এটি দ্রুত শুরু করতে ঐকমত্য কমিশন অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল তা ধরে রাখতে হবে৷ সেই ঐক্যের মাধ্যমে জাতীয় সনদ তৈরি হবে, যা আগামীর বাংলাদেশের পথরেখা নির্দেশ করবে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা'র নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের হয়ে আলোচনায় আরো জয়দীপ ভট্টাচার্য, শফি উদ্দিন কবির আবিদ, সীমা দত্ত, মাসুদ রেজা ইন্দ্রাণী ভোট সোমা, আসমা আক্তার, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, তসলিমা আক্তার, রাশেদ শাহরিয়ার, রাজু আহমেদ, বিটুল তালুকদার, মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯ টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে বাসদ (মার্ক্সবাদী)-সহ ২৩টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন৷
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।