শিরোনাম
◈ সংকটে থাকা পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের একীভূতকরণ: গ্রাহকের টাকা কতটা নিরাপদ? ◈ প্রস্তাবিত নতুন ২ বিভাগে যেসব জেলা থাকছে ◈ ইউনুস স্যার যদি ওইখানে বসে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তাহলে স্যারেরও পতন আসন্ন: নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী (ভিডিও) ◈ প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব: রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন ◈ বাম দলগুলোর নির্বাচনী জোট গঠন জোরদার হচ্ছে ◈ অবশেষে খোঁজ মিলেছে ডিবি হারুনের! টেক্সাসের উডল্যান্ডে কী করছেন ডিবি হারুন? (ভিডিও) ◈ বিদেশি কর্মীদের ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র’ প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল ◈ ব্যাংক হিসাব জব্দ করা সবসময় সঠিক পদক্ষেপ নয়: ফরাসউদ্দিন ◈ আশ্বাসের পরিবর্তে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আরাকান আর্মিকে সক্রিয় হতে হবে ◈ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ নয়, আপাতত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না: ড. ইউনূস (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:৫৩ বিকাল
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্ষণের ঘটনা পুঁজি করে পাহাড়কে অশান্ত করার চক্রান্ত ইউপিডিএফের: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ (ভিডিও)

সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেছেন, খাগড়াছড়ির ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে পাহাড়কে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছে ইউপিডিএফ। এর রেশ ৩ পার্বত্য জেলায় পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। 

পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ ইঙ্গিত করে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, সামনে দেশের অনেক বড় কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো বানচালের জন্য ইউপিডিএফ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর গুইমারায় গিয়ে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনা ঘটে। এর জন্য দায়ী ইউপিডিএফ।

হাসান মাহমুদ বলেন, এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনসমূহ প্রথমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করলেও তা পরবর্তীতে ২৫ সেপ্টেম্বর আধাবেলা হরতাল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর অবরোধ কর্মসূচির দিকে চলে যায়।

২৬ সেপ্টেম্বর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন হঠাৎ করেই তাদের একটি দল সেনাবাহিনীর একটি পিকআপকে আক্রমণ করে, যেখানে তিনজন সেনা সদস্য আহত হন। সেনাবাহিনী মানবিকতা ও ধৈর্যের সাথে কোনো বল প্রয়োগ ছাড়াই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে।

এরপর ইউপিডিএফ সমর্থিত নেতা সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তারা খাগড়াছড়িতে সমাবেশ ডেকে পুরো বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করে। ২৭ সেপ্টেম্বর অবরোধ কর্মসূচির সময় তারা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর ও সাধারণ জনগণের উপর চড়াও হয়। একটি ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা পরিস্থিতিকে অন্যদিকে মোড় নিয়ে নেয় এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এই কারণে প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত ১৪৪ ধারা জারি করে। পুলিশ, এপিবিএন, বিজিবি, আনসার, বিডিপি সবাই একসাথে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২৭ সেপ্টেম্বর পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

তিনি আরও জানায়, স্বনির্ভর এলাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে ওইদিন সেনাবাহিনী মাঝখানে না দাঁড়ালে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত, যা ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়।

খাগড়াছড়িতে সফল হতে না পেরে ইউপিডিএফ এবং অঙ্গ সংগঠনসমূহ ২৮ তারিখে গুইমারাতে একইভাবে পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়, যেখানে তিনজন মারা যান এবং আরও অনেকে আহত হন।

সেনাবাহিনী সন্দেহ প্রকাশ করে যে বহিশক্তি অথবা এখানকার একটি মহল পেছন থেকে তাদেরকে সাহায্য করছে। তারা জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থীতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের বিষয়টি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

এদিকে তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়িতে বলবৎ আছে ১৪৪ ধারা। শহরে ঢুকতে বা বের হতে মুখোমুখি হতে হচ্ছে তল্লাশির। জুম্ম ছাত্র-জনতার অবরোধ শিথিল থাকলেও চলছে না কোন অভ্যন্তরীন বা দুরপাল্লার গাড়ি।

খাগড়াছড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও রামগড়ে বিজিবির ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে সড়ক অবরোধ ডাকা হয়। এ কর্মসূচি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারায় সহিংসতা ঘটে, যাতে ৩ জন পাহাড়ি নিহত হন। আহত হন সেনা কর্মকর্তাসহ বহু পাহাড়ি ও বাঙালি। রামসু বাজারসহ বহু ঘরবাড়ি ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়