শেখ হাসিনা পরপর তিনবার বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্য নির্বাচন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সকল কারচুপির মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার আমলে ভূতুড়ে নির্বাচনে ১০০ লোককে নির্বাচনের পর হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট ভরে রাখার অভিযোগও তুলেছেন উপদেষ্টা।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা মিথ্যা বলে নির্বাচন নিয়ে সর্বোচ্চতম অপরাধ করে গেছেন দিনের পর দিন। মিথ্যাবাদী একটি সমাজ তৈরি করেছিল হাসিনা। গুম করে লাশ লুকিয়ে ভণ্ডামি করতো। তার ওপর সাইকোলজিকাল ডিটেইল পিএইচডি করা সম্ভব।
আইন উপদেষ্টা বলেন, এমন নজির পৃথিবীতে কোথাও নাই। হুমকি দেওয়া ও খোঁচা দিয়ে কথা শোনানো তার অভ্যাস ছিল। রাষ্ট্রের কনসেপ্ট বুঝতো না হাসিনা। এত মানুষ আরও ক্ষেপে যায়। বাংলাদেশের মানুষকে কৃতদাস ভাবতে আর ভারতকে সর্বস্ব দিয়ে গেছে দেশ থেকে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যেকের ক্ষোভের প্রকাশ জুলাই আন্দোলন। এই আন্দোলনের রূপকার দেশের সব সাধারণ জনগণ। আইনশৃঙ্খলা পরিবর্তনের আগে নিজেকে সংশোধন করতে হবে। নিজেদের নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। নিজেদের পাসপোর্টের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষ লজ্জিত হয় এখনও। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এটা হলে বাংলাদেশ ভালো জায়গায় পৌঁছাবে।
আত্মতৃপ্তিতে না ভুগে আত্মসমালোচনা দরকার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করলেই দেশ পরিবর্তন সম্ভব না।