শিরোনাম
◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈  নতুন আইন হচ্ছে  র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব ◈ বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফায় দফায় সংঘর্ষ ◈ আনোয়ারায় বেড়েছে চুরি, ডাকাতিসহ নানান অপরাধ, উদ্বিগ্ন জনসাধারণ   ◈ দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে  মাছ ধরতে নদীতে নামেছে জেলেরা

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৪৯ বিকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ ছেড়ে সরকার রক্ত বেছে নিয়েছে: সাংবাদিক নেতারা 

রিয়াদ হাসান: [২] কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হত্যা ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার  দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

[৩] সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সরকার রক্তের নেশায় উন্মত্ত হয়ে গেছে। ১৭ তারিখ সাতজন ছাত্র হত্যার পর আজ আবার তিনজন ছাত্রকে হত্যা করেছে। আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথকে ছুঁড়ে ফেলে রক্তই বেছে নিল সরকার। যা ফ্যাসিবাদের চরম বহিঃপ্রকাশ।

[৪] সমাবেশ থেকে অভিভাবকদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক তারা বলেন, এভাবে পাখির মতো আমাদের সন্তানদের গুলি করে মারবে আর অভিভাবকরা চুপ করে থাকবো এটা হতে পারে না।

[৫.১] শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যোক্তিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের দাবি না মেনে বল প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। 

[৫.২] আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, গত ক'দিন ধরে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে। সরকারি ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পিস্তল, রড, লাঠি, হকিষ্টিক, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। নির্বিচার হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি।

[৬] বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকার যেভাবে ছাত্র হত্যার মহোৎসবে নেমেছে তা একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একাত্তরে ভিন দেশ থেকে এসে আমাদের হত্যা ও নির্যাতন করেছিল। আর আজ এদেশের সিংহাসনে বসে মানুষ হত্যা, গুম ,খুন করা হচ্ছে। এ লজ্জা রাখি কোথায়? 

[৭] পুলিশের সমালোচনা করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, আপনারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী। কোনো দলের ঠেঙ্গারে বাহিনী নন। তাই নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। আমাদের সন্তানের বুকে গুলি চালাবেন না। আমাদের একদফার দাবিতে মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা মাঠে নামলে শ্রীলঙ্কার পরিণতি আপনাদের বরণ করতে হবে। 

[৮] ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবৎ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উস্কানিমূলক  বক্তব্য দিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়। এর ফলে ১০টি তরতাজা প্রাণ ঝরে পড়লো। এর দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারে না।

[৯] সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সহ সভাপতি এ কে এম মহসিন, সিনিয়র সহকারি মহাসচিব বাছির জামিল, ডিইউজের সহ সভাপতি রফিক মোহাম্মদ, ক্রাবের সাবেক সহ সভাপতি আবু সালেহ আকন প্রমুখ।

[১০] সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন দুটো। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়