সুস্থ থাকার জন্য ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বিভিন্ন শাস্ত্রেও একই কথার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ঘুম থেকে কেউ ভোর ৫টায় উঠতে পারেন। আবার কারও হয়তো সকাল ৭টায় ঘুম ভাঙে। কোন সময়ে ঘুম থেকে এঠা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
৫টায় ঘুম ভাঙা
দৈনিক কাজকর্মের সঙ্গে দেহের স্নায়ুতন্ত্র সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তাই কেউ যদি ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে শুরু করেন, কয়েক দিন পর দেখা যাবে অ্যালার্ম ছাড়াই তাঁর ঘুম ভেঙেছে। সময়ের সঙ্গে তখন সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট অনুভূত হবে না।
ভোরে তন্দ্রাভাব থাকে বেশি। তাই ঘুম ভাঙে সহজে। তার ফলে শরীর ফুরফুরে থাকে। ভোরে পরিবেশ শান্ত থাকে। যার ফলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস উপকারী।
৭টায় ঘুম ভাঙা
অন্য দিকে মনে রাখতে হবে, সকাল ৭টায় চারপাশে শব্দ বৃদ্ধি পায়। ৫টার তুলনায় ৭টার সময়ে ঘুম থেকে উঠছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও হয়তো বেশি। কারণ, ব্যস্ত জীবনে সারা দিনের কাজ সেরে অনেকেই রাত করে ঘুমোতে যান। ফলে তাঁরা ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ফলে চারপাশের শব্দ এবং কোলাহল স্নায়ুতন্ত্রের উপরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। অনেকেই তখন দৈনিক কাজের লক্ষ্যপূরণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
ব্যতিক্রম
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ভাল। তবে চিকিৎসকদের দাবি, কে কখন ঘুম থেকে উঠছেন, তা তাঁর স্নায়ুতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব না-ও ফেলতে পারে। কারণ, যদি নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো যায়, তা হলে শরীর নতুন করে নিজের প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করে নেয়। এ বার কেউ যদি দেরিতে ঘুমোতে যান এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন এবং সেই অভ্যাস যদি তাঁর স্বাভাবিক জীবননযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে যায়, তা হলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
সূত্র: আনন্দবাজার