ইন্ডিয়া টুডে: ‘ভোট চুরি’ চলতে থাকলে ভারতেও একই ধরনের গণবিক্ষোভ ঘটবে। কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পর চলমান নেপালের অস্থিরতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সতর্ক করে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
লখনউতে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময়, যাদব নেপালের বর্তমান রাজনৈতিক উত্থানের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভের ফলে ৫০ জনেরও বেশি প্রাণহানি এবং সরকারী সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দলীয় কর্মসূচিতে অখিলেশ জানান, ভোট চুরি বন্ধ না হলে নেপাল বা বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ভারতেও। শাসক পরিবর্তনের দাবি তুলে রাজপথে নামতে পারে জনতা। যার ফলে হিংসা ছড়াতে পারে।
অযোধ্যা এলাকায় সাম্প্রতিক একটি বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে অখিলেশ বলেন, ‘‘ওই উপনির্বাচনে ৫০০০ বহিরাগতকে এনে ভোট দেওয়ানো হয়েছিল। একজন মন্ত্রীর সহযোগী ধরা পড়েছিল। আমার বক্তব্য স্পষ্ট যদি এভাবে ভোট চুরি চলতে থাকে, তাহলে এখানকার মানুষও প্রতিবেশী দেশগুলোর পথে হাঁটতে পারে।দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে পড়তে পারেন।”
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে যাদব মন্তব্য করেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সময়ে সময়ে নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে নির্বাচন কমিশন তাদের নির্দেশ মেনে চলবে। এটি বিজেপির অস্থায়ী কমিশনে পরিণত হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করা একটি দায়িত্ব।’
নেপালের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ সামাজিক মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল কিন্তু দ্রুত তা বৃহত্তর সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়। অস্থিরতার ফলে শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীদের বাড়ি, সংসদ ভবন , দেশের সুপ্রিম কোর্টসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে বাংলাদেশেও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। কোটা সংস্কার অন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে সেখানকার জনতা।
অনুবাদ : মানবজমিন