শিরোনাম
◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন ◈ লন্ডনে এক লাখেরও বেশি মানুষের অভিবাসনবিরোধী সমাবেশ, পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে আহত ২৬ কর্মকর্তা ◈ কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা ◈ এক ম্যাচে দুই ভাইয়ের গোল, ইন্টার মিলান‌কে হারা‌লো জুভেন্টাস ◈ আজ থেকে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু, ভোট ১২ অক্টোবর ◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি, চীনের হারানো অর্ডার এলো দেশে ◈ বিরল দৃশ্যের অবতারণা, কাবা ঘরের ওপর নেমে এলো চাঁদ ◈ ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া সেই ফারজানা ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার (ভিডিও) ◈ মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টা, লন্ডন পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের ◈ সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:২৫ বিকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:২৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে ঐকমত্যহীন নেপাল, প্রেসিডেন্টের শান্তির আহ্বান

নেপালের রাজনৈতিক সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করছে বিক্ষোভকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে এখনও ঐকমত্য তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার  প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, তিনি দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে উত্তরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট পাওডেল বলেন, সম্মানিত নেপালি ভাই-বোনেরা, সংবিধানের সীমার ভেতরে থেকে গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনরত নাগরিকদের দাবি পূরণের পাশাপাশি সবাইকে সংযমের সঙ্গে শান্তি রক্ষায় সহযোগিতার আহ্বান জানাই।

ওলি সরকারের পতনের পেছনে মূল ভূমিকা রাখে জেন-জি নামে পরিচিত তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তিন জনের নাম প্রস্তাব করেছে। তারা হলেন দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি, র‍্যাপার থেকে কাঠমান্ডুর মেয়র হওয়া বালেন্দ্র (বালেন) শাহ এবং বর্তমান আলোচনায় এগিয়ে থাকা সাবেক বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিসিং।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর আন্দোলনের সূচনা হয়। দ্রুতই এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে বেকারত্ব, দুর্নীতি ও রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসী জীবনযাপনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে। যদিও পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে উত্তপ্ত হয়। সরকারি স্থাপনা ও রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবনে হামলার ঘটনাও ঘটে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব নির্ধারণে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়