শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি, চীনের হারানো অর্ডার এলো দেশে ◈ বিরল দৃশ্যের অবতারণা, কাবা ঘরের ওপর নেমে এলো চাঁদ ◈ ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া সেই ফারজানা ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার (ভিডিও) ◈ মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টা, লন্ডন পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের ◈ সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই ◈ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য চীনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে যে নতুন নির্দেশনা ◈ জনগণ রায় দিলে ৫ বছরেই দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব: জামায়াত আমীর ◈ সহকারী শিক্ষকদের জন্য নতুন নির্দেশনা, সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে যেসব তথ্য ◈ রাতে ঢাকাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ ডাকসুর পর জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫১ বিকাল
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে গেছে: নেপাল জেন-জি

নেপালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জেন-জির শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে তীব্র আকার ধারণ করে, যা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় রূপ নেয়। দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতার মুখোমুখি হয় । ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দু’দিনের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ২০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। হতাহতের এসব ঘটনাতে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এরই মধ্যে নেপালের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া জেন-জি গোষ্ঠীগুলো ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের ভাষ্য, আন্দোলনটি ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা ছিনতাই করেছে’।

সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় পুলিশ গুলি চালালে। দু’দিনের আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জনের বেশি।

একপর্যায়ে তীব্র চাপের মুখে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর পদত্যাগ করেন নেপালের প্রেসিডেন্টও। তবে এরপরও চলতে থাকে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। বিবিসি বলছে, অনেক বিক্ষোভকারী এখন উদ্বিগ্ন, কারণ আন্দোলন ‘অনুপ্রবেশকারীরা’ পরিচালনা করেছে।

বিক্ষোভকারীদের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবারের বিক্ষোভ নেপালের জেন-জিদের আয়োজিত। এটি একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির অবসান।’

এতে বলা হয়, ‘আমাদের আন্দোলন অহিংস ছিল, এখনও আছে এবং শান্তিপূর্ণ নাগরিক সম্পৃক্ততার নীতিতে প্রোথিত।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা (বিক্ষোভকারী) পরিস্থিতি ‘দায়িত্বের সঙ্গে পরিচালনা’, নাগরিকদের সুরক্ষা এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য সক্রিয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। বুধবার থেকে আর কোনো বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেই এবং প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে কারফিউ বাস্তবায়নের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

নেপালের সেনাবাহিনীও অভিযোগ করেছে যে, বিভিন্ন ‘ব্যক্তি এবং নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী’ বিক্ষোভে অনুপ্রবেশ করেছে এবং ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়