শিরোনাম
◈ পোশাক খাত: ঘুরে দাঁড়ানোর বছরেও শেষ মুহূর্তের অশনি সংকেত ◈ ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জবাবে ভারতে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা ◈ সংলাপ চলছেই, ঐকমত্য আটকে আছে শর্ত আর সংশয়ে ◈ ট্রাম্পের ৫ দিনের আলটিমেটাম: বাণিজ্য চুক্তি না হলে ৭০% শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ◈ আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিণত ‘ভুতুড়ে ভবনে’: গুলিস্তানে পরিত্যক্ত ভবনে মলমূত্রের দুর্গন্ধ, মাদক-জুয়ার আড্ডার অভিযোগ ◈ কোরিয়ায় 'লাভবাগ' আতঙ্ক: পোকার আক্রমণে নাজেহাল রাজধানী ◈ যা ঘটেছিল সেদিন, বর্ণনা দিলেন সেই এইচএসসি পরীক্ষার্থী ◈ পিএসসি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ◈ বাংলাদেশে ধর্ষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, প্রশ্নের মুখে রাষ্ট্রের ভূমিকা ◈ সরকারি চাকরিতে আসছে বড় পরিবর্তন

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানি শহীদদের প্রতি ব্রিটেনের ইহুদি রাব্বিদের শ্রদ্ধা / ইরানের বিজয়ে অভিনন্দন

পার্সটুডে-মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে লিখেছে: ইরানের সংসদ মজলিশে শুরায়ে ইসলামিতে ইহুদি সম্প্রদায়ের সাবেক প্রতিনিধি সিয়ামক মেরহে সাদ্দেগ বলেছেন: "আমরা ইরানি সংস্কৃতি ছাড়া বাঁচতে পারব না।"

পার্সটুডে জানিয়েছে, মিডল ইস্ট মনিটর ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পশ্চিমা সরকারগুলো মূলত ইরানি সংস্কৃতি ও সমাজের একটি বিকৃত এবং অবাস্তব চিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। কিন্তু তারপরও ইরানি সমাজ এমন একটি জটিল ও বৈচিত্র্যময় সমাজ যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠী একসাথে শান্তিতে বাস করে এবং তারা তাদের মাতৃভূমির প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এটি এমন একটি বিষয় যা ইরানের শত্রুরা উপেক্ষা করে চলেছে।

মিডল ইস্ট মনিটর আরো জানিয়েছে: “পশ্চিমারা এসব অপপ্রচার চালিয়ে ইরানকে এমন একটি শ্বাসরুদ্ধকর ও বদ্ধ দেশ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে যেন মনে হয় ইরানে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কোনো স্বাধীনতা নেই এবং একটি মতাদর্শই সবার ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এও বলা হয়, ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা পশ্চিমা গণতন্ত্রের মতো নয়, ইরানে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেখি এবং বিভিন্ন প্রার্থী ভিন্ন নীতিতে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করে।"

ইরান বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর আবাসস্থল। এই জাতিগোষ্ঠীগুলি স্বাধীনভাবে তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করে। এটি একটি অনস্বীকার্য সত্য যে আমরা ইরানে জাতিগত এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য প্রত্যক্ষ করি। যদিও ইরানের সংবিধান শিয়া মাজহাবকে দেশের সরকারী ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে অন্যান্য ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের প্রতিও সরকার খুবই সহনশীল। মজার বিষয় হল, ইরান বৃহত্তম ইহুদি জনসংখ্যার আবাসস্থল। দেশে ইহুদি উপাসনালয় সিনাগগগুলো অবাধে পরিচালিত হয় এবং ইহুদি স্কুলগুলোও সেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। ইরানের আর্মেনীয়-অধ্যুষিত অঞ্চলে অনেক গির্জা রয়েছে এবং জরথুস্ট্রিয়ান উপাসনালয়গুলো দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।

ইরানে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে সংস্কারবাদী, রক্ষণশীল এবং মধ্যপন্থীও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচনগুলোও তীব্র প্রতিযোগিতামূলক। তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ত্রুটিবিচ্যুতি থাকতে পারে সেটা অবশ্য পশ্চিমা বিশ্বেও রয়েছে।

ইরানের তরুণ জনসংখ্যা, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ, বিশ্ব সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে যুক্ত এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সক্রিয়। ইরানি সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পকলা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইরানি সমাজ একটি বহুমুখী সমাজ।

ইরানে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষের বসবাস রয়েছে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলি তাদের স্বতন্ত্র পরিচয় ও ঐতিহ্য ভালোভাবে বজায় রাখে। ইরানের নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা স্পষ্ট। তাই পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মডেলগুলোর সাথে ইরানের তুলনা করা বা বোঝা ঠিক নয়।

ইরানের সংবিধান জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। মজার বিষয় হল, উদাহরণস্বরূপ, ইহুদিরা ২,৭০০ বছর ধরে ইরানে বসবাস করে আসছে এবং নিজেদেরকে ইসরাইলি ইহুদিদের চেয়ে ইরানি ইহুদি বলে মনে করে। তারা যুক্তি দেয় যে ইরানে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে কিছু নেই। তারা স্বীকার করে যে তারা ইরানে সম্পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ করে। 'ইরানিরা ইহুদিদের হত্যা করতে চায়'- এই মিথ্যা কথা ইরানের ইহুদি নেতারা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। সেকারণেই ইরানের পার্লামেন্টের সাবেক ইহুদি সদস্য সিয়ামক মেরহে সাদ্দেগ বলেছেন, "আমরা ইরানি সংস্কৃতি ছাড়া বাঁচতে পারি না"।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়