শিরোনাম
◈ ইসরায়েলের দিকে আবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন ◈ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আইন সংশোধনে ফলকার তুর্কের উদ্বেগ ◈ সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্টহাউসে কক্ষে কক্ষে তল্লাশি চালানো সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার ◈ খুব দেরি হওয়ার আগেই’ ইরানের আলোচনায় ফেরা উচিত: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ◈ ভুটান থে‌কে ফি‌রে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দি‌লেন ঋতুপর্ণা, মারিয়া ও মনিকা ◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ ◈ আতঙ্কে দলে দলে তেহরান ছাড়ছেন বাসিন্দারা ◈ ইশরাককে ‘মেয়র’ পরিচয়ে নগর ভবনে সভা: যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ ◈ স্টুডিওতে একজন নারী নিউজ অ্যাঙ্কর সংবাদ পাঠ করার সময় হাঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে (ভিডিও) ◈ ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে বাংলাদেশ সরকার

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০২৫, ০৯:৩৫ রাত
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ব জ্বালানির ‘লাইফলাইন’ হুমকির মুখে: ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে কী হতে পারে?

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের দামামা বেজেই চলছে। উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে হরমুজ প্রণালীর ওপরও। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। এরইমধ্যে ইরান হুমকি দিয়েছে—প্রয়োজনে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে। আর সেটি ঘটলেই বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে।

বিশ্বের মোট জ্বালানি সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই হরমুজ প্রণালী হয়ে যায়। এই প্রণালীটি মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাস রফতানির অন্যতম প্রধান পথ। ভৌগোলিকভাবে এটি অত্যন্ত সংকীর্ণ একটি সমুদ্রপথ। আর এই পথ বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম দ্রুত বেড়ে যাবে, যা সারা পৃথিবীর অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিষয়টি নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধ প্রকাশ করেছে আরব নিউজ। তাদের মতে, বিকল্প পথ থাকলেও হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে ঝুঁকিতে পড়বে সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ গালফের তেল উৎপাদক দেশগুলো। যদিও সৌদি আরবের তেল উৎপাদন কেন্দ্র আবকাইক থেকে লোহিত সাগরের ইয়ানবু পর্যন্ত ৭০ লাখ ব্যারেল ক্ষমতার বিকল্প পাইপলাইন রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতও ১৫ লাখ ব্যারেল ক্ষমতার পাইপলাইনের মাধ্যমে ফুজাইরাহ বন্দরে তেল পাঠায়, যা হরমুজ প্রণালীর বাইরে অবস্থিত।

তবে এসব বিকল্প পথ পুরো রপ্তানি কাভার করতে পারবে না। ফলে কিছুটা হলেও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে।

তবে, ইরান আগেও এমন হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তারা পুরোপুরি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করেনি। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান প্রণালী বন্ধের হুমকি দিয়েছিল, যদিও বাস্তবায়ন করেনি। কারণ, এই পথ দিয়েই ইরান নিজের তেলও রফতানি করে থাকে। প্রণালী বন্ধ করলে তাদের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান ড্রোন ও নৌযান ব্যবহার করে কিছু সময়ের জন্য এ রুটে নাশকতা ঘটাতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ সম্ভব নয়। ১৯৮০-র দশকের ‘ট্যাঙ্কার যুদ্ধের’ সময়ও হরমুজ প্রণালী পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সেসময় ৪৫০টির বেশি জাহাজে হামলা হয়েছিল, কিন্তু প্রণালী দিয়ে তেল রফতানি চলেছেই।

অন্যদিকে, ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলেও ইসরায়েলের কোনো সরাসরি ক্ষতি হবে না। কারণ দেশটির সব তেল আসে ভূমধ্যসাগর হয়ে। তারা আজারবাইজান, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, গ্যাবন ও নাইজেরিয়া থেকে তেল আমদানি করে। ফলে ইসরায়েলের জন্য হরমুজ প্রণালী বন্ধ কোনো সমস্যা নয়। বরং ক্ষতিগ্রস্ত হবে এশিয়া, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলের দেশগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে চীন ও রাশিয়ার মতো দেশের সমর্থন হারাতে পারে। কারণ, এই প্রণালীর ৭৬ শতাংশ তেল এশিয়ার বাজারে যায়। চীন ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও প্রণালী বন্ধ হোক, তা কখনও চায় না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়