শিরোনাম
◈ ইরানের প্রতি পাকিস্তানের পূর্ণ সমর্থন ◈ বৃহৎ ইসলামি জোট শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কি? ◈ মোসাদের দুঃসাহসিক অভিযান: ২৭ সিন্দুক পরমাণু নথি চুরি ও বিজ্ঞানীদের গুপ্তহত্যার বিস্ময়কর ইতিহাস ◈ সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ◈ ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক নিয়ে নতুন রাজনীতি, বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো ◈ অ‌স্ট্রেলিয়া‌কে হারি‌য়ে টেস্ট চ‌্যা‌ম্পিয়ন‌শি‌পের শি‌রোপা জিত‌লো দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকা ◈ ট্রফি থেকে প‌তৌ‌দির নাম মুছে ফেলায় মনকষ্ট বি‌সি‌সিআইর, সম্মানরক্ষায় ইংল্যান্ড বোর্ডকে অনু‌রোধ ◈ গভর্নরের লন্ডন সফরে কী পেলো বাংলাদেশ, যা জানাগেল ◈ মে‌রি‌লি‌বোন ক্রিকেট ক্লাব বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের নিয়মে যে পরিবর্তন আন‌তে যা‌চ্ছে ◈ কোচ কাবরেরার উপর গরম দেখা‌লেন বাফু‌ফে সদস‌্য, চাই‌লেন তার পদত্যাগ, বিব্রত সভাপ‌তি

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২৫, ০১:২৬ দুপুর
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানে ইসরাইলের হামলা কেন? কী অর্জন করতে চায় ইসরাইল?

ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শুক্রবার (১৩ জুন) চালানো হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এর লক্ষ্য ছিল তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ‘হৃদয়’-এ আঘাত হানা। 

হামলা চালানোর পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভাষণে বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার হুমকি দূর করার জন্য ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ যত দিন প্রয়োজন তত দিন অব্যাহত থাকবে।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল নাতানজে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। 

তিনি বলেন, ইসরাইল ‘ইরানি বোমা তৈরি করা’ তেহরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদেরও আঘাত করেছে।

‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ কী?

শুক্রবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইসরাইলের অস্তিত্বের জন্য ইরানি হুমকিকে প্রতিহত করা।

নেতানিয়াহু বলেন, অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক সক্ষমতায় আঘাত করা।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই হুমকিগুলো রেখে যেতে পারি না। কারণ আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আর কোন প্রজন্ম থাকবে না। যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এখানে থাকব না। ’

নেতানিয়াহু ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ইরান ছয় বছরের মধ্যে ২০ হাজারটি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, তাই ইসরাইল সেগুলো অপসারণের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ’

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মতে, এটি ছিল প্রথম পর্যায়ের হামলা। প্রাথমিক হামলায় ইরানের বিভিন্ন এলাকায় পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তু সহ কয়েক ডজন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আইডিএফ সামনে এবং পেছনে অভিযানের জন্য মূল্যায়ন এবং প্রস্তুতির একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে।

এদিকে, জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর বিরুদ্ধে অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ শুরু করেছে, যার লক্ষ্য ইসরাইল এবং সমগ্র বিশ্বের নাগরিকদের জন্য একটি অস্তিত্বগত এবং তাৎক্ষণিক হুমকি দূর করা। তথ্যসূত্র: অ্যাক্সিওস।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়