ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনার ওপর একযোগে এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘তিনি (গুতেরেস) ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবস্থা নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।’
মুখপাত্র আরও বলেন, মহাসচিব উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যেকোনো মূল্যে গভীর সংঘাতে ডুবে যাওয়া এড়িয়ে চলতে বলেছেন।
এদিকে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের পর এবার পাল্টা প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটিতে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ’র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আইআরএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে খামেনি বলেছেন, ভোরবেলায় ইহুদিবাদী সরকার আমাদের প্রিয় দেশের বুকে তার রক্তাক্ত ও কলুষিত হাত বিস্তার করেছে, আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে আগের থেকেও স্পষ্টভাবে তার বর্বর স্বভাব প্রকাশ করেছে। এর জন্য তাদের কঠিন শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
ইরানের রাজধানীজুড়ে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তেহরানের বাসিন্দারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, তেহরানে নতুন করে ইসরাইলি হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, শহরের ওপর দিয়ে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে।
এর আগে ভোরে প্রথম দফায় হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে ইরানে আঘাত হেনেছে। টাইমস অফ ইসরাইলের বরাতে জানা গেছে, এই হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে।