শিরোনাম
◈ এক ইলিশ বিক্রি হলো ১২,৪৮০ টাকায়! ◈ নতুন বন্দোবস্তে সবকিছু কি ওলটপালট হয়ে গেল? ◈ আগামীকাল শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা ◈ ঢাকায় ছাত্রদল ও এনসিপির মহাসমাবেশ কাল: শাহবাগ ও শহীদ মিনারে পাল্টাপাল্টি জমায়েত, উত্তেজনা রাজনৈতিক অঙ্গনে ◈ গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট ◈ যে কারণে নিজেদের সব কূটনীতিককে আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ! ◈ তিন দি‌নের সফ‌রে ভারতে আস‌ছেন মে‌সি, খেল‌তে পা‌রেন কোহলি-ধোনির সঙ্গে ক্রিকেট ◈ এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ আবার অনিশ্চিত! পি‌সি‌বি‌কে ৩৭০ কো‌টি টাকার ভয় দেখা‌চ্ছে সম্প্রচারকারী সংস্থা ◈ বাই‌ডেন ও ট্রা‌ম্পের কথাবার্তায় ম‌নে হয় তারা ডিমেনশিয়া রো‌গে আক্রান্ত ◈ সব‌চে‌য়ে কম বয়‌সে পদক জি‌তে রেকর্ড গড়‌লেন চী‌নের সাঁতারু

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২৫, ১২:১৪ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে ৪ দিনের সংঘর্ষে পাকিস্তান হারিয়েছে ৬ যুদ্ধবিমান ও ২ নজরদারি বিমান, দাবি দিল ইন্ডিয়া!

ইন্ডিয়া টুডে: মে  মাসে মূলত ৪ দিন ভারত-পাক সংঘাত হয়েছিল। আর এই চার দিনের সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ছয়টি যুদ্ধবিমান, দুটি উচ্চ-মূল্যের নজরদারি বিমান, একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ৩০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি মনুষ্যবিহীন বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত।

সূত্রগুলো  ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে যে, অপারেশনাল তথ্যের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ নিশ্চিত করে যে বিমান যুদ্ধের সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিমান অথবা একটি এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং বা কন্ট্রোল এয়ারক্রাফ্ট ছিল বলে মনে করা হয়।  প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র  ব্যবহার করে সেই বিমানকে ধ্বংস করা হয়। 

সূত্র জানায়, ভোলারি বিমানঘাঁটিতে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাক বাহিনীর আরেকটি সুইডিশ বিমান ভূপতিত করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, বেশ কয়েকটি  যুদ্ধবিমানকেও টার্গেট করা হয়। তবে সূত্র জানিয়েছে যে, পাকিস্তান এখনও  ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার না করায় এই ক্ষয়ক্ষতি গণনা করা হয়নি।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলো আঘাত হানার পর রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার দৃশ্যমান প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলে ভারতীয় ড্রোন হামলার সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমানও ধ্বংস হয়ে যায়।

সূত্রগুলো স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনী মূলত পাকিস্তানি ঘাঁটিতে আঘাত করার জন্য আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উপর নির্ভর করেছিল এবং এই অভিযানের সময় ভূপৃষ্ঠ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেনি। 

সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাফাল এবং এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমানের একটি সমন্বিত হামলায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চীনা উইং লুং ড্রোন (মাঝারি উচ্চতার,  মানবহীন সিস্টেম) ধ্বংস করা হয়েছে। 

সংঘর্ষের সময় ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১০টিরও বেশি চালকবিহীন যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী একাধিক ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে পাকিস্তান কর্তৃক ছোড়া বিপুল সংখ্যক আকাশ ও স্থল থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও প্রতিহত করেছে।

সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় বিমান বাহিনী এখনও অভিযানের সময় সংগৃহীত বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করছে। ৬-৭ মে রাতে এই সংঘর্ষ শুরু হয়, যখন ভারত, অপারেশন সিঁদুরের  অধীনে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী অবকাঠামোর উপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। চার দিনের সংঘর্ষর পর  ১০ মে অবশেষে দু দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়