স্পোর্টস ডেস্ক: ট্রাভিস হেড—ইশান কিশান ফিরলেও একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নিয়মিতই চার-ছক্কা মেরে যাচ্ছিলেন অভিষেক শর্মা। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ওপেনার তখন অপরাজিত ৩৮ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে। অভিষেকের সঙ্গে তখন কেবলই জুটি গড়েছেন হেনরিখ ক্লাসেন। দুই উইকেট হারানো হায়দরাবাদের ম্যাচ জেতার জন্য তখন প্রয়োজন ৩৬ বলে ৯৮ রান। সমীকরণটা কঠিন হলেও অভিষেক ও ক্লাসেন উইকেটে থাকায় হয়ত বিশ্বাস রেখেছিলেন সফরকারী সমর্থকরা। --- ক্রিকফ্রেঞ্জি
স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউট শেষে ইশান্ত শর্মাকে দুই চার মেরে ভালো শুরুই করলেন অভিষেক ও ক্লাসেন। তবে মারকুটে ওপেনারকে তখনই থামিয়ে দিলেন ডানহাতি এই পেসার। ইশান্তের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৪১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে তাণ্ডব চালানোর আগেই ক্লাসেনকে ফিরিয়ে দিলেন প্রসিধ কৃষ্ণা।
অনিকেত ভার্মা-কামিন্দু মেন্ডিসরাও এলেন আর গেলেন। শেষের দিকে নীতিশ কুমার রেড্ডি ১০ বলে ২১ ও প্যাট কামিন্স ১০ বলে ১৯ রান করলেও জয়ের দেখা পায়নি হায়দরাবাদ। সফরকারীদের ৩৮ রানে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে গুজরাট টাইটান্স। এ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছেন শুভমান গিল—জস বাটলাররা। তবে ১০ ম্যাচে মাত্র তিন জয় পাওয়া হায়দরাবাদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের নয়ে। হায়দরাবাদকে অনেকটা খাদের কিনারায় ঠেলে দিয়েছে গুজরাট।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২২৪ রান তাড়ায় হেড ও অভিষেকের ব্যাটে প্রত্যাশিত শুরুই পেয়েছিল হায়দরাবাদ। তবে ঝড় তোলার প্রচেষ্টায় থাকা জুটিকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি প্রসিধ। ম্যাচে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেই ফিরিয়েছেন হেডকে। ডানহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ক্যাচ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।