শিরোনাম
◈ আইন সংশোধন, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও প্রশিক্ষণে আটকে নির্বাচন পরিকল্পনা ◈ খামেনির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পনা বন্ধ করলেন ট্রাম্প? ◈ ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন মাইলফলক: সার্টিফিকেট সত্যায়ন এখন অনলাইনেই (ভিডিও) ◈ রাতের আকাশে আগুন! ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপছে ইসরায়েল ◈ ইসরায়েলে আঘাত করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ অধ্যাপক ইউনূসের যুক্তরাজ্যে 'সরকারি সফর' থেকে কী অর্জন হলো ◈ ইরানে বিদ্রোহের ইঙ্গিত সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভির: ইসরায়েল-যুদ্ধ পরবর্তী ‘রেজিম চেঞ্জ’ পরিকল্পনার আভাস ◈ ভুটানসহ আরও ৩৬ দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, বাকি দেশ গুলোর নাম হলো ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার আসল কারণ যা জানাগেল! ◈ ইরান প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:২৮ দুপুর
আপডেট : ১২ জুন, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে নতুন চাপে ভারত

মহসিন কবির: জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার একটা চাপ তৈরি হয়েছিলো। সবাই একবাক্য বলেছেন শেখ হাসিনা অপরাধী, অপরাধীকে ভারত আশ্রয় দিতে পারে না। এমনকি ভারতের বুদ্ধিজীবীরাও বলেছে শেখ হাসিনার জন্য আমরা কেন খেসারত দিবো। এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রঅ নরেন্দ্র মোদির কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলো প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা. ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর শেখ হাসিনা ইস্যুতে নিশ্চিতভাবে কূটনৈতিক চাপে পড়বে দিল্লি, এমটাই বলছেন কূটনীতিকরা। 

সব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাফ জানিয়ে দিলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে।

শেখ হাসিনা গণহত্যায় অভিযুক্ত আসামি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়টিকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সক্ষমতা হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

গণমাধ্যমকে তারা বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠাবে কিনা, তা ভবিষ্যতের বিষয়। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনাসহ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য ইস্যু যেভাবে তুলে ধরেছেন, তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এক ইতিবাচক অর্জন।

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ইউনূস-মোদি বৈঠক সম্পর্কে গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমি এই বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকের এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের এই বৈঠক বাংলাদেশের কূটনৈতিক সক্ষমতারই প্রমাণ বহন করে। এই বৈঠকের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার কূটনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলের অন্যতম খেলোয়াড়, যা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেখিয়ে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে ড. আতাউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনাকে দিল্লি এই মুহূর্তে ফেরত পাঠাবে না। এটা আমরা সবাই জানি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসও জানেন। কিন্তু মোদির সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই এই ইস্যুটি তুলে বলটি এখন ভারতের কোর্টে দিয়ে দিয়েছেন ড. ইউনূস। নিশ্চিতভাবে ভারত শেখ হাসিনা ইস্যুতে এক ধরনের চাপের মধ্যেই থাকবে। কারণ, আগামীতে শেখ হাসিনার বিচার হবে। বিচারে তার সাজাও হয়তো হবে।

ভারতের তথাকথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতের সামনে এই ‘ন্যারেটিভ’ তুলে ধরা ছাড়া আর কোনো ইস্যু নেই। ভারতের পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে নানা তৎপরতা দেখা গেছে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা তেমন কাজে দেয়নি। পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে মোটেই একমত নয়।

প্রফেসর আতাউর রহমানের মতো ইউনূস-মোদি বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. এম শহীদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের যে বরফ জমেছে, তা হয়তো গলতে শুরু করবে। শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে যে ধরনের বৈরী আচরণ করে আসছে, তা থেকে দেশটি এখন সরে এলে তা হবে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

ড. এম শহীদুজ্জামান বলেন, আমরা জানি, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দিল্লির কোনো ইচ্ছা নেই। এ ব্যাপারে ভারতের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে ভারত যে ভূ-রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়বে, সে ব্যাপারে দেশটির নীতি-নির্ধারকরা নিশ্চয়ই অবগত আছেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের উন্নয়ন চায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়