শিরোনাম
◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ ◈ অনিশ্চয়তার মাঝেও পি‌সি‌বি চায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে আসুক

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২৫, ০১:৩৮ রাত
আপডেট : ০১ মে, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবশেষে সেই মানবতাবাদীর মৃত্যু

নিজের রক্তে বিরল অ্যান্টিবডি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জেমস হ্যারিসন প্রায় ২৪ লাখ শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সেই হ্যারিসন ৮৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। গত সোমবার তার পরিবার জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের একটি নার্সিং হোমে ঘুমন্ত অবস্থায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। গতকাল এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়েছে, ‘গোল্ডেন আর্ম’ হিসেবে পরিচিত হ্যারিসনের রক্তে বিশেষ অ্যান্টিবডি ছিল। যেসব গর্ভবতীর রক্তে তাদের অনাগত শিশুদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, সেই মায়েদের ওষুধ তৈরিতে ‘অ্যান্টি-ডি’ ব্যবহৃত হয়।

হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়Ñ ১৪ বছর বয়সে বুকে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের সময় রক্ত নেওয়ার পর তিনি রক্তদাতা হওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন; কিন্তু ১৮ বছর বয়সে রক্তরস (প্লাজমা) দান শুরু করেছিলেন, যা অব্যাবহৃত রেখেছিলেন ৮১ বছর বয়স পর্যন্ত। দুই সপ্তাহ অন্তর তিনি রক্ত দিতেন।

২০০৫ সালে প্লাজমা দানে বিশ^ রেকর্ড গড়েছিলেন হ্যারিসন। যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ২০২২ সালে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ওই রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন এ অস্ট্রেলিয়ান। হ্যারিসনের মেয়ে ট্রেসি মেলোশিপ বলেন, কোনো খরচ বা কষ্ট ছাড়াই বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচাতে পেরে বাবা গর্ববোধ করতেন।

উল্লেখ্য, অ্যান্টি-ডি টিকা অনাগত শিশুকে রক্তের একটি প্রাণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা করে, যা ভ্রƒণ বা নবজাতকের হিমোলাইটিক ডিজিজ বা এইচডিএফএন নামে পরিচিত।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়