শিরোনাম
◈ বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক ◈ হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন ◈ আবারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি ◈ আজ গভীর রা‌তে বা‌র্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মু‌খোমু‌খি ◈ প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বড় সুখবর দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের জন্য ◈ টি-টোয়েন্টি সি‌রিজ খেল‌তে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ◈ আমার স্বামী চায় আমি খোলামেলা জামা পরি: মডেল পিয়া বিপাশা ◈ বিচারকাজে বাধা ও হুমকি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ◈ ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ঘর হস্তান্তর: সেনাবাহিনীর দক্ষতায় অর্ধেক খরচে সফল বাস্তবায়ন

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০১ দুপুর
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রলোভন এড়িয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ভারতকে মোকাবিলা করতে হবে: দ্য হিন্দু

রাশিদ রিয়াজ: ভারতকে বাংলাদেশের সকল পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে হবে, এমন তাগিদ দিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা এড়িয়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের ভিন্ন চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর দিল্লির সাথে ঢাকার সম্পর্কের বাঁক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। কেননা দিল্লি বরাবরই শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগকে তাদের প্রধান মিত্র ভেবেছে। যার ফলে ভারত হাসিনার সকল কাজেই সমর্থন দিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে তারা ন্যায়-অন্যায় বিচার করেনি। এতে হাসিনার সাথে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সমর্থন হারিয়ে বেশ চিন্তাতেই পড়েছে দিল্লি। তারা সার্বক্ষণিক বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামাজিক পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর জারি করেছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ বাংলাদেশের বিগত সরকারই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল। 

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল এ.এন.এ. মুনিরুজ্জামান (অব.)। তিনি মনে করেন ভারতকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সকল পক্ষের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। 

তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর বাংলাদেশের রাজনীতি আর আগের অবস্থানে নেই এবং এই পরিস্থিতিতে এক পক্ষীয় কূটনীতি পরিচালনা করা যায় না এবং ভারতকে দ্রুত এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। ঢাকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বিনির্মাণে নতুন করে ভাবতে হবে।

হাসিনা সরকারের পতনকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমাপ্তি বলে ব্যাখ্যা করার দরকার নেই বলে জেনারেল মুনিরুজ্জামান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানো উচিত।

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে নজির স্থাপন হয়েছে সেটাই বলে দিচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক লক্ষ্য এখন আর আগের স্থানে নেই। বর্তমানে অন্তর্র্বতী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এই সরকারে ছাত্রদের একাধিক প্রতিনিধি দায়িত্বপালন করছেন। বিশেষ করে যেসকল সুশিল সমাজ এবং ছাত্র নেতারা হাসিনার পতনকে তরান্বিত করেছিল তারাই অন্তর্র্বতী সরকারে রয়েছেন। আশা করা যায় এ সরকার গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে অধিক সহায়ক হবে। ৫ই আগস্ট আকস্মিকভাবে শেখ হাসিনার শাসনের অবসানের আগাম সতর্কবার্তা দিল্লির মনোযোগ আকর্ষণ করেনি। তারা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে পাত্তা দেয়নি। তিনি আরও বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের সাথে জড়িত থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রলোভন এড়িয়ে যেতে হবে। ভারতকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সঠিক দিকটিতে থাকতে হবে।

মুনিরুজ্জামান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে , বাংলাদেশ যে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে ভারতকে তা সৃজনশীল পদ্ধতিতে মোকাবিলা করতে হবে। জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তা নজিরবিহীন বলে মনে করেছেন অনেক বিশ্লেষক।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ গণঅভ্যুত্থান বলে বিবেচিত হচ্ছে এই আন্দোলন। কেননা টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় থাকতে জোরপূর্বক গুম করতেও দ্বিধা করেননি। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। মূলত হাসিনার এই আকস্মিক পতনে দিল্লির কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। এছাড়া হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েও বিভিন্ন বিষয়ে সমীকরণ মেলাতে বেশ চিন্তিত দেশটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়