উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপের প্রভাবে ১১ জেলায় এক থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানরত লঘুচাপটি পরিণত হয় নিম্নচাপে।
অমাবস্যার প্রভাব থাকায় উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ করে সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও এর আশপাশের চর ও দ্বীপে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস আশঙ্কা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ এবং চরসমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।’
নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে পারে। যার প্রভাবে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বসের শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা।
ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আগামী পরশু দিন থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।’
সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে বিভিন্ন জেলায় নদীতীরের নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পটুয়াখালীতে গতকাল থেকে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে অস্বাভাবিক জোয়ারে নদ-নদীর পানি দুই থেকে তিন ফুট বেড়ে গেছে। দু-দফা জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বেঁড়িবাধের বাইরের নীচু এলাকা। এছাড়া, ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার অন্তত ১০ গ্রাম। এছাড়া, নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে। এর মধ্যে অস্বাভাবিক জোয়ারে বরিশাল নগরীর প্রধান সড়কসহ অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।