শিরোনাম
◈ ৬০ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে ভারতীয় আক্রমণের আশঙ্কা (ভিডিও) ◈ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা, কিছু পণ্যে বেড়েছে ৫০ শতাংশ দাম ◈ বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু বউকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার! ◈ গণমামলা আর গণআসামির নেপথ্যে চাঁদাবাজি? ◈ সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার জেরে তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি - যা জানা যাচ্ছে ◈ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ গ্যাস সঙ্কটে ১৬২০ কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করছে সরকার ◈ সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ◈ প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে: এনবিআর  ◈ জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৩৭ বিকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

বিএনপি ভোটের জরিপে এগিয়ে, জামায়াত ৩২ ভাগ 

মহসিন কবির: আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইনোভিশন কনসালটিং নামে একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা জরিপ চালিয়েছে। এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কোন রাজনৈতিক দল কত ভোট পাবে সেটা বলছে তারা। সম্প্রতি জরিপের এতথ্য প্রকার করেছে সংস্থটি। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) ভোট দিতে চান আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিতে চান ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। ৫৮ শতাংশ ভোটার চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন চান। এ ছাড়া দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ মনে করেন গত ছয় মাসে চাঁদাবাজি অনেক বেড়েছে।

ইনোভিশন কনসালটিং নামে একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার মাঠপর্যায়ের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে সংস্থাটি। গত ৫ আগস্টের পর এটি তাদের দ্বিতীয় জরিপ। জরিপটি ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলায় পরিচালিত হয়েছে বলে ইনোভিশন কনসালটিং জানিয়েছে। ১০ হাজার ৬৯০ ভোটার এ জরিপে অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল উপস্থাপন করেন ইনোভিশন কনসালটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াৎ সারওয়ার। উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী শাহেদ এইচ ফেরদৌস ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম মাশরুর। এতে সহযোগিতা করেছে আরো দুটি গবেষণা সংস্থাÑ ব্রেইন ও ভয়েস ফর রিফর্ম।

অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৬ শতাংশ মনে করেন দ্রুত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চান ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ, কর্মসংস্থান বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ২৯ দশমিক ১ শতাংশ।

ধর্মভিত্তিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে এই জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আগামী নির্বাচনে আপনি কাকে ভোট দিতে চান? জবাবে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ বলেছেন বিএনপিকে ভোট দিতে চান আর জামায়াতকে ভোট দিতে চান ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চান ১৪ শতাংশ। ছাত্র নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে চান ৫ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। যদিও জরিপটি এনসিপিকে প্রতিনিধিত্ব করে না বলে জানিয়েছে ইনোভিশন কনসালটিং। কারণ জরিপটি ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন নতুন দল আত্মপ্রকাশের আগেই পরিচালিত হয়।

‘গত ছয় মাসে চাঁদাবাজির পরিস্থিতি কেমন ছিল?’- এমন প্রশ্নের বিপরীতে ৪১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলছেন, চাঁদাবাজি বেড়েছে। তবে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ মনে করছেন, চাঁদাবাজি কমেছে। চাঁদাবাজি পরিস্থিতি আগের মতোই আছে বলে মনে করেন ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল- কখন নির্বাচন চান। ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন চান বলে মত দেন। ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ মনে করেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হোক।

যদিও গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক ডামাডোলে বিএনপি ও তার মিত্ররা চলতি বছরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। অপরদিকে জামায়াতসহ কিছু ধর্মভিত্তিক দল ও জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্ররা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছে।

জরিপটির ফলাফল অনুযায়ী তরুণদের কাছে টানার ক্ষেত্রে বিএনপি ও জামায়াত প্রায় সমানভাবে এগিয়ে আছে। তবে তুলনামূলক বয়স্করা বিএনপিকেই বেশি পছন্দ করছেন। এক্ষেত্রে জামায়াতেরও প্রভাব তুলনামূলকভাবে কাছাকাছি পর্যায়ে।

নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক আদর্শের দলগুলোর প্রভাব বেশি থাকবে বলে এ জরিপে উঠে এসেছে। ২০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার মনে করেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ইতিবাচক প্রভাব থাকবে আগামী নির্বাচনে। তবে অন্য দলগুলোর তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে বলে মনে করেন ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার মনে করছেন তাদের কাছে জুলাই অভ্যুত্থানের আদর্শিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।

বিএনপির রাজনৈতিক প্রভাবের তুলনায় জামায়াতের এককভাবে কিছুটা বেড়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এতে উঠে এসেছে- তরুণদের কাছে জামায়াতের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তা ছাড়া রংপুর ও খুলনা বিভাগে ভোটের আধিপত্যে এগিয়ে রয়েছে দলটি। বাকি ছয়টি বিভাগে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও জামায়াতের অবস্থান দলটির খুব কাছাকাছি রয়েছে।

কোন বিভাগে কে এগিয়ে- এমন তথ্যে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে বিএনপির ভোটের আধিপত্য ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যেখানে জামায়াতের প্রভাব ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগেও এগিয়ে বিএনপি। এ বিভাগে বিএনপির ভোট ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ আর জামায়াতের ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ছাত্র সমর্থিত দলের প্রভাব ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।াব ভ া

তবে রংপুরের ভোটব্যাংকে এগিয়ে জামায়াত। এ বিভাগে ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার জামায়াতের আর ২১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার বিএনপির। জামায়াতের আরেকটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে খুলনা বিভাগ। এ বিভাগের ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ জামায়াতের ভোটার আর ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ বিএনপির ভোটার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়