মনজুর এ আজিজ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, কুরআনকে জানার জন্য মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। আমি মনে করি, কুরআন প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। কুরআনকে বাহন হিসেবে নিয়ে কিভাবে সমাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে। তাহলেই সমাজে ইসলামী আইন-কানুন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, সমাজে আলো ছড়াতে কুরআন শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র কুরআন শরীফের নিয়ম মেনেই ইসলামী অনুশাষন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। কুরআন শিক্ষা সোসাইটি ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। এ সোসাইটির উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম বলেন, কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা না হয়, তবে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোনোভাবেই পরিবর্তন আসবে না। জবাবদিহিতা হতে হবে আল্লাহর কাছে। আল্লাহভীতি না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সফল হতে পারেনা।
তিনি বলেন, পারিবারিক জীবন থেকেই কুরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে। সমাজ জীবন আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে আমানতদারীতার সাথে কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে। একমাত্র কুরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।
বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবদুস শহীদ নাসিম বলেন, কুরআন সম্পর্কে আমাদের ভয়াবহ অজ্ঞতা রয়েছে। এই অজ্ঞতা থেকে যদি বের হতে না পারি তাহলে কুরআন থেকে আমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারবো না। কুরআন শুধু খতম দিলে হবে না। কুরআন নাজিল হয়েছে জানা-বোঝা ও মানার জন্য। কুরআনের আদেশ-নিষেধ পালন করতে হবে।
সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুস সালাম সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ড. নাসিমা হাসান লেখক ও গবেষক ড. সাজেদা হোমায়রা এবং গবেষক ও শিক্ষক ড. আবদুল হালিম প্রমুখ।