শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৯ রাত
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহায়ক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখবে মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রক নয় বরং সহায়ক কর্তৃপক্ষ হিসেবে মন্ত্রণালয় ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষাক্রমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে তাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া গুণগতমান উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নীতিগত সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর মাধ্যমে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় যথাসম্ভব সহায়তা করবে।
শিল্পের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও দক্ষতামুখী ও বাস্তবমুখী করা জরুরি। 

সমিতির নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করে জানান, শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিয়া ও শিল্প খাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। আগামিতে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান অলাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর করারোপ প্রসঙ্গে বলেন, যে পরিমাণ অর্থ কর হিসেবে তৎসময়ে আদায় করা হয়েছে বা করা হচ্ছে, তা গবেষণা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য পুনঃবরাদ্দ করা উচিত। এই অর্থ উদ্ভাবনী গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় হলে দেশের উচ্চশিক্ষা খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

বৈঠকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের পদ্ধতি প্রসঙ্গে সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক আবেদীন বলেন, প্রতিটি পদের জন্য ১৫ থেকে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তিনজন প্রফেসরের নাম প্রস্তাব করতে হয়, সে হিসেবে সহস্রাধিক মানসম্পন্ন প্রফেসর পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সমিতির কোষাধ্যক্ষ কেবিএম মঈন উদ্দিন চিশতি বলেন, একটি মানসম্পন্ন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য কয়েকশ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে নিজস্ব অর্থায়নে জমি কেনার পর ক্যাম্পাস নির্মাণে অর্থের সংস্থান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার বিষয়ে সরকারি সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য কাইয়ূম রেজা চৌধুরী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়