শিরোনাম
◈ অনিশ্চয়তায় ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর ◈ বিচার চলাকালীন আইন করে আ. লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে: নাইদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ফজলুর রহমানের বক্তব্য সরকার সমর্থন করে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ আদানির বকেয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়েছে বাংলাদেশ ◈ অপতথ্য ছড়াতে আ.লীগ সহায়তা করছে ভারতীয় মিডিয়াকে: প্রেস সচিব ◈ ফারাক্কা ব্যারাজ চালুর ৫০ বছর: পদ্মাসহ বাংলাদেশের নদনদীতে কী প্রভাব পড়েছে? ◈ আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ: জড়ো হচ্ছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা, মঞ্চে বক্তব্য শুরু ◈ অতিদ্রুত আ. লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ◈ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মিনি আয়নাঘরের সন্ধান, উঠে এল নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য ◈ দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৪২ রাত
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় যা বললেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক

সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। এ সময় তিনি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা নিয়েও সমালোচনা করেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

সাত কলেজের অধিভুক্তির সিদ্ধান্তকে হঠকারী মন্তব্য করে পোস্টে নাসির লেখেন, ‘ঢাকা শহরের সাতটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুদীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ সুনাম ও স্বতন্ত্র ঐতিহ্য থাকার পরেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদলেহনকারী সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আরেক সহযোগী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত রেষারেষির পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও সুন্দর ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এটি ছিল একটি অবিবেচনাপ্রসূত চরম হঠকারী পদক্ষেপ।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভার সম্পূর্ণরূপে শেখ হাসিনা ও তার দোসর আরেফিন সিদ্দিকের। উল্লেখ্য, ড. হারুন অর রশিদ চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে ছাত্রদের ওপর আরও বেশি গুলি করে হত্যা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। তারাই এই অধিভুক্ত কলেজের সমস্যার মূল কুশীলব।’

আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। সহিংসতা সমাধানের পথ রুদ্ধ করবে। সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে শান্তি বজায় রেখে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিম এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তারাই এই সহিংসতা উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। আপনারা ফ্যাসিস্টদের সেই সুযোগ দেবেন না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আজকের বিবদমান প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। আজ আপনারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি করে ফ্যাসিস্টদের কোনো সুযোগ দেবেন না। সব ধরনের উসকানি এড়িয়ে চলুন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ জানায়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার তৈরি করা এই সংকট দ্রুত নিরসন করুন। সব পক্ষের মতামত শুনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বাস্তবসম্মত একটি সমাধান বের করুন।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়