শিরোনাম
◈ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে জবাব দিলেন সাকিব ◈ রাখাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এখনই রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার সময়: খলিলুর রহমান ◈ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত: পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে মোদির স্ট্যাটাস ◈ পা‌কিস্তা‌নের বিরু‌দ্ধে জ‌য়ের হ‌্যা‌ট‌ট্রিক, এশিয়া কা‌পে ভারত অপরা‌জিত চ‌্যা‌ম্পিয়ন ◈ ৪৭তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ, পাস ১০৬৪৪ জন ◈ দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, ঐক্যের প্রতীক: প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ ঘন ঘন ভূমিকম্প কিসের ইঙ্গিত! ◈ কাপ্তাইয়ে যাত্রীবাহী বাস থেকে ৫০০ দা-চাপাতি উদ্ধার, ইউপিডিএফের সহিংসতার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো বিজিবি ◈ অমর একুশে বইমেলা স্থগিত ◈ প্রাথমিকে ছুটি কমছে, বছরে খোলা থাকবে আরও বেশি দিন

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:১২ দুপুর
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ গ্রহণে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করল আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ গ্রহণের সীমা বেঁধে দিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে বাংলাদেশ এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এ ছাড়া, ত্রৈমাসিকভিত্তিক ঋণের পরিমাণও নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফ গত জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩৪ কোটি ডলার ছাড়ের পর ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট’ প্রকাশ করে। সেখানে পরবর্তী কিস্তি পেতে যেসব শর্ত মানতে হবে, তার মধ্যে নতুন এই ঋণসীমা অন্যতম।

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, প্রথম তিন মাসে সর্বোচ্চ ১৯১ কোটি, ছয় মাস শেষে ৩৩৪ কোটি, নয় মাসে ৪৩৪ কোটি এবং পুরো অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। প্রতি তিন মাস অন্তর বিদেশি ঋণের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার ৮৫৭ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ নিয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ঋণ নেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এবার কিছুটা কম ঋণ নিতে হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ আইএমএফ অনুমোদন করলেও তখন এমন কোনো শর্ত ছিল না। তবে গত জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের সময় ঋণের পরিমাণ আরও ৮০ কোটি ডলার বাড়ানো হয় এবং মেয়াদ ছয় মাস বাড়ে। এরপর থেকেই নতুন শর্ত যুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এ কর্মসূচি থেকে মোট ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের সর্বশেষ ঋণ স্থায়িত্ব বিশ্লেষণ (ডিএসএ) অনুসারেই এ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই বিশ্লেষণে বাংলাদেশকে টানা দুই অর্থবছর ধরে ‘মধ্যম ঝুঁকি’র দেশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আগে ‘কম ঝুঁকি’ বিবেচনায় থাকলেও রপ্তানি ও রাজস্ব আয়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এখন ঝুঁকির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়