শিরোনাম
◈ এবার নিলামে বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার ঘনফুট সাদাপাথর ◈ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ নির্দেশনা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ◈ এক কার্গো এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ◈ নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ সবাই মিলে মোকাবেলা করতে হবে: ৭ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ◈ সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন ক্ষমা পাবেন কিনা, যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ◈ পঞ্চগড় থেকে খালি চোখে দেখা মিলল শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা ◈ আগামী পাঁচদিন ভারি বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায় ◈ ইতালিতে বাংলাদেশি অভিবাসী সংকট নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক ◈ নুরকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ আবারও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য নতুন সুখবর

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৪ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পোশাক খাতের সাফল্যের পাশাপাশি পশ্চিমা বাজারে ঝুঁকি বাড়ছে

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশের মোট পোশাক রপ্তানির অর্ধেকের গন্তব্য হচ্ছে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। আর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের একক বৃহত্তম বাজার। মোট রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।

অর্থাৎ পোশাক রপ্তানির প্রায় ৭০ শতাংশ পশ্চিমা বাজারের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞরা জানান, পশ্চিমা বাজারের ওপর একক নির্ভরতা পোশাক খাতের বড় চ্যালেঞ্জ। এতে নির্দিষ্ট বাজারে চাহিদা কমে গেলে কিংবা আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হলে সেখানে রপ্তানি কমে বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তখন এ খাতে বিপদ বাড়বে।

কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) দেশের তৈরি পোশাক খাতে ৩৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। আগের বছর এ খাতের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৩৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময় ইইউভুক্ত দেশগুলোতে মোট ১৯ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা বাংলাদেশ থেকে মোট পোশাক রপ্তানি মূল্যের ৫০ দশমিক ১০ শতাংশ।

ইউরোপের বড় বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে জার্মানিতে ৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও ইউনাইটেড ফোরামের প্যানেল লিডার মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ বাবলু বলেন, পশ্চিমা বাজারের ওপর নির্ভরতা বাংলাদেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ বা প্রায় ৬০% আসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসে প্রায় ২০%। এই সংখ্যাগুলোই নির্ভরতার গভীরতা বোঝার জন্য যথেষ্ট। এ নির্ভরতায় পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতিতে মন্দা বা ক্রয়ক্ষমতা কমলে সরাসরি বাংলাদেশের অর্ডার, রপ্তানি এবং বৈদেশিক মুদ্রার আয়কে প্রভাবিত করে। আমরা ২০০৮-০৯ বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং কভিডের সময় এর প্রমাণ আমরা দেখেছি।

এই বাজারগুলোতে ভোক্তা রুচি, ফ্যাশন ট্রেন্ড, বা বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন বাংলাদেশের হাজার হাজার কারখানাকে অস্থিরতার মুখে ফেলে দেয়। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, রাশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা ইত্যাদি মার্কেটে প্রবেশ করতে হবে। সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চীন প্রতি বছর ২ হাজার ৮০০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে। আর ভারত আমদানি করে ৭০০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের চীনে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আর ভারতে ২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে আমরা ঢুকতে পারছি না। আসিয়ান, পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া মিলে আমাদের মোট রপ্তানির ১২ শতাংশ। এ বাজারগুলো আমরা ধরতে পারছি না। কাছের এসব বাজার ধরতে পারলে আমাদের ত্রিমাত্রিক সুবিধা হবে। উৎস: বিডি-প্রতিদিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়