শিরোনাম
◈ এক ইলিশ বিক্রি হলো ১২,৪৮০ টাকায়! ◈ নতুন বন্দোবস্তে সবকিছু কি ওলটপালট হয়ে গেল? ◈ আগামীকাল শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা ◈ ঢাকায় ছাত্রদল ও এনসিপির মহাসমাবেশ কাল: শাহবাগ ও শহীদ মিনারে পাল্টাপাল্টি জমায়েত, উত্তেজনা রাজনৈতিক অঙ্গনে ◈ গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট ◈ যে কারণে নিজেদের সব কূটনীতিককে আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ! ◈ তিন দি‌নের সফ‌রে ভারতে আস‌ছেন মে‌সি, খেল‌তে পা‌রেন কোহলি-ধোনির সঙ্গে ক্রিকেট ◈ এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ আবার অনিশ্চিত! পি‌সি‌বি‌কে ৩৭০ কো‌টি টাকার ভয় দেখা‌চ্ছে সম্প্রচারকারী সংস্থা ◈ বাই‌ডেন ও ট্রা‌ম্পের কথাবার্তায় ম‌নে হয় তারা ডিমেনশিয়া রো‌গে আক্রান্ত ◈ সব‌চে‌য়ে কম বয়‌সে পদক জি‌তে রেকর্ড গড়‌লেন চী‌নের সাঁতারু

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২৫, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

ডলার ভাঙানোর কথা বলে প্রতারণার ফাঁদ, লুটের ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় ডলার ভাঙানোর কথা বলে ৩৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় চক্রের সদস্য ইকবাল হোসেন (৩৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার আসামি ইকবালকে রিমান্ড চেয়ে ঢাকা মহানগর আদালতে তোলা হলে আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার গুলশান থানার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানার পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি সুইস গিয়ার ও একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস যাহা দ্বারা শরীরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। 

ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, গত ২৭ মে ভিকটিম  বদরুল আলম বাপ্পি ও  রমজান আলীকে ফোন করে ২৯ হাজার ডলার মানি এক্সচেঞ্জ করবেন বলে জানায় চক্রটি। ৩৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ক্যাশ আনতে ভিকটিমদের বলা হয়।  আসামিদের সঙ্গে ভুক্তভোগিরা পূর্বে দুইবার লেনদেন করে। সেই বিশ্বাস থেকে  ৩৭ লাখ  ১৯ হাজার টাকা ক্যাশ নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের এক নম্বর রোডে ৫১১ নম্বর বাসায় যান তারা। বাসাটি আসামিদের সাময়িক সময়ের জন্য ভাড়া করা ছিলো। টাকা নিয়ে বাসায় গেলে  চক্রের সদস্যরা দরজা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি লাইট অফ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আগে থেকে ওই বাসায় চক্রের  ১২ থেকে ১৬ জন সদস্য অবস্থান করছিলো। পরে তারা  ভিকটিমদের জিম্মি করে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলেন।  হাত এবং পা বেঁধে ফেলে পরবর্তীতে  স্কচ টেপ পেঁছিয়ে ফ্লোরে ফেলে মারতে থাকে এবং ইলেকট্রিক শর্ট দিতে থাকে। পরবর্তীতে ভিক্টিমদের সঙ্গে  থাকা কালো ব্যাগের ভিতর ক্যাশ ৩৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা,  তিনটি মোবাইল ফোন এবং ভিকটিমের মোটরসাইকেল নিয়ে তারা পালিয়ে যায় তারা। 

সুজন হক বলেন, পরবর্তীতে ভিকটিমদের একজন আরেকজনের বাঁধন খুলে দিলে তাহারা চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এসে তাহাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় বদরুল আলম বাপ্পি বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলার করে।

তিনি আরও বলেন, এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই  ইকবাল হোসেন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি ইকবালকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ইয়াসিন সিকদারের  বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ১৩ লাখ  টাকা উদ্ধার করা হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও  মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়