মাহবুব সৈয়দ, পলাশ: [২] ষড়ঋতুর এই দেশে ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সজ্জায় সাজে প্রকৃতি। বর্তমানে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে ফল-ফুলের ব্যাপক সমারোহ। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে প্রকৃতির নজরকাড়া আরেক সৌন্দর্য জারুল ফুল। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে নরসিংদীর পলাশের আনাচে কানাচে রয়েছে জারুল গাছ।
[৩] জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলে প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলে। এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। ফুলটির ইংরেজি নাম: Giant Crape-myrtle, বৈজ্ঞানিক নাম: Lagerstroemia Speciosa। গাছটির আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ জারুল। তবে বাংলাদেশ সহ চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে এই বৃক্ষের দেখা মিলে। গ্রীষ্মের শুরু থেকে এই ফুল শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয় ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। এই গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়। গাছটির নানা ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। তবে নানা কারণে প্রকৃতি থেকে বিলীন হওয়ার পথে এই গাছ।
[৪] প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে উপজেলার টেঙ্গরপাড়া, পাইকসা, দলাদিয়া, ক্ষুদ্রাবন, দিগদা, লেবুপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় জারুল ফুল। যার বেগুনি ফুলের সৌন্দর্য প্রতিটি পথচারীর নজর কাড়ে। তবে গাছটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার এমনটিও জানিয়েছেন অনেকেই।
[৫] পলাশ সেন্টাল কলেজের অধ্যাপক মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, প্রতি বছর গ্রীস্মকাল জারুল ফুলের অনন্য শোভা যে কোনো মানুষকে বিমোহিত করবেই। বর্তমানে এই জারুল বৃক্ষটি ব্যাপকহারে কর্তনের ফলে আগের মতো আর চোখে পড়ে না। অথচ এই জারুল ফুল আবহমান বাংলার এক অপরূপের সাজের মনিহার ছিলো।