কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলো আদালত। শনিবার ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা এমপি-এমএলএ আদালত এই নির্দেশ জারি করেছে। পাশাপাশি ২৬ জুন তাকে আদালতে হাজিরা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। রাহুলের সশরীরে হাজিরার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ। ওই দিন কংগ্রেসের অধিবেশনে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন রাহুল। ঠিক কী বলেছিলেন?
অভিযোগ, কংগ্রেসের অধিবেশনে রাহুল দাবি করেছিলেন, কারও বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ থাকলেও তিনি অনায়াসে বিজেপির সভাপতি হতে পারেন। এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপি কর্মীরা। তাদের দাবি, এমন মন্তব্য শুধু অপমানজনক নয়, মানহানিকর। এরপরই ৯ জুলাই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ কুমার। অবশেষে শুরু হয়েছে সেই মামলার শুনানি। আর তারপরই রাহুলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হলো। ইতিমধ্যেই শারীরিক হাজিরার নির্দেশের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল গান্ধীর আইনজীবী। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক।
এর আগে বারবার রাহুলকে হাজিরার সমন পাঠানো হলেও তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। প্রথমে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারাতেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। পরে রাহুল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ চান। পরে রায়বরেলির সাংসদ সশরীরে হাজিরা থেকে বিরতি চান। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় চাইবাসা আদালত। আর এবার বিশেষ আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি করল রাহুলের বিরুদ্ধে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে